সাধারণত পাবলিক টয়লেটগুলোতে ব্যবহারের ওপর দুই ধরনের চার্জ নেওয়ার রীতি প্রচলিত। তাই বিস্ময় নিয়ে বলি, দু’টির (পায়খানা ও প্রস্রাব) জন্য একই টাকা।
পাশে দাঁড়িয়ে এক যাত্রী বিরক্তি নিয়ে বলেন, বাড়াবাড়ি! ট্রেনের জন্য যদি পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি তাহলে তো বাথরুমের জন্যেই একজন মানুষের ৫০ টাকা যাবে। এতো টাকা নেওয়ার কোনো মানেই হয় না।
স্টেশনের ভেতরে দু’টি পাবলিক টয়লেটের সন্ধান পাওয়া গেলো। টয়লেটে পুরুষ-নারীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে চিফ ইনস্পেক্টরের কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত পাবলিক টয়লেটের মেরামতের কাজ চলায় নারীদের জন্য টয়লেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে একটার সামনেই নারী-পুরুষের বেশ ভিড়।
অাফরোজা নামে এক নারী অভিযোগ করে বলেন, পুরুষদের টয়লেটে কী যাওয়া যায়? ১০ টাকা করে নিচ্ছে- ভেতরে কোনো টিস্যু নেই, পানিতে প্যাচপ্যাচ করছে, কি অবস্থা! বলেই কপাল কুঁচকান তিনি।
এদিকে স্টেশনের প্রথম শ্রেণী ও শোভন চেয়ারের বিশ্রামাগারে যে টয়লেটগুলো রয়েছে, সেগুলোর খুবই বাজে পরিবেশ। কাদা, পানি স্যাঁতস্যাঁতে, কমোডে ময়লা, উৎকট গন্ধে টেকা দায়! দেখে মনে হবে, পরিষ্কারের জন্য দীর্ঘদিন হাত দেওয়া হয়নি এতে। সে তুলনায় ইজারা দেওয়া পাবলিক টয়লেটগুলো পরিষ্কার। এ কারণে বাধ্য হয়ে পকেটের টাকা খরচ করে পাবলিক টয়লেটেই যাচ্ছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে কথা হয় স্টেশন মাস্টার মাহফুজা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাবলিক টয়লেটের সেবার মান ভালো করার জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। আমি জানতাম ৫ ও ১০ টাকা চার্জ নেওয়া হয়। একবারে ১০ টাকা নেওয়া এটা তো জানি না! তবে সেবার মান ভালো হলে ১০ টাকা নিলেও সমস্যা নেই।
পাবলিক টয়লেটের বিষয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা খতিয়ে দেখবো, জানান তিনি।
** বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অকেজো মাইক!
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এমসি/জেডএস/এটি