মংলা, বাগেরহাট থেকে: সুন্দরবন ট্যুরিজমে মংলার সম্ভাবনা অসীম। কিন্তু এখানে নেই কোন ভালোমানের হোটেল কিংবা বিলাসবহুল লঞ্চ।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সুন্দরবন ট্যুরিজম নিয়ে বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে এ কথা বলছিলেন বাগেরহাটের মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র মো. জুলফিকার আলী।
বাগেরহাট কিংবা খুলনা থেকে সুন্দরবনে যেতে সাধারণত মংলা রুট ব্যবহৃত হয়। খুলনা থেকে আরও দু একটি রুটে বনে যাওয়া যায়। তবে দূরত্ব অনেক বেশী হওয়ায় সে রুট তেমন জনপ্রিয় নয়।
জুলফিকার বলেন, বাগেরহাট থেকে জলপথে মংলা যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। আর খুলনা থেকে লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। দেশের মানুষ এখন সময় সচেতন। মংলা থেকে ভ্রমণ শুরু করলে পর্যটকদের সময় বাঁচে, অর্থও বাঁচে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা চান ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, থাকার জন্য ভালো জায়গা আর খাওয়ার ভালো পরিবেশ। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে মংলা পোর্ট পৌরসভার উদ্যোগে ইতোমধ্যেই একটি থ্রি স্টার মানের হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে একটি ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ করা দরকার। কিছু ভালো লঞ্চও আছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মংলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলেই মংলা হবে সুন্দরবন ভ্রমণের প্রবেশদ্বার।
পর্যটনকে সাধারণের কাছে জনপ্রিয় ও সুলভ করতে অধিকহারে একদিনের সুন্দরবন ট্যুর চালুর উপর গুরুত্ব দেন তিনি। শতকরা দু’শতাংশ লাভে ট্যুর অপারেটররা প্যাকেজ চালু করলে অধিক সংখ্যক পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আগ্রহী হবে।
মংলা পোর্ট পৌরসভাকে ডিজিটাল পৌরসভায় রুপান্তর করতে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে মংলা শহরের প্রধান প্রধান মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভাকে আনা হয়েছে সাউ্ন্ড সিস্টেমের আওতায়।
নগরীকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে ভিক্ষুকদের তালিকা করে তাদের পৌরসভায় কাজ দেওয়া হয়েছে। শহরের সড়ক দ্বীপগুলোতে লাগানো গাছে পানি দেওয়ার চাকরি দেওয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, মংলা আর পশুর নদীর ত্রিমোহনায় নদীর কিনারায় একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা ও মংলা নদীর দ্বারা পৃথক হওয়া মংলা পৌরসভাকে একত্রিত করতে এ নদীর উপর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মান করারও পরিকল্পনা তার রয়েছে।
** গাইড থেকে ট্যুর অপারেটর
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআই/জেডএম