ডাকাতিয়া বিল থেকে: কনকনে শীতে কুয়াশার জালে ঢাকা ভোরের খুলনা। শীতের বুড়ির মতো জুবুথুবু ঘুমে এ শহর।
হিম শীতের শিশিরে ভিজতে ভিজতে ডাকাতিয়া বিলে যাত্রা।
রয়েল মোড় থেকে রিকশায় করে মাহেন্দ্র (ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার গাড়ি) ধরতে খুলনা সদরের ডাক বাংলোয়। তবে শহরের মতোই তখনো মাহেন্দ্রক্ষণ আসেনি মাহেন্দ্রের ঘুম ভাঙ্গার। পরে পাওয়ার হাউজ থেকে মাহেন্দ্র পেয়ে প্রথম গন্তব্য শিরোমনি বাজার। কুয়াশার চাদরে মোড়া ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শিরোমনি বাজারে। এরপর পশ্চিম শিরোমনি গ্রামের ভাঙা-চোড়া রাস্তা দিয়ে ডাকাতিয়া গ্রামে প্রবেশ।
গ্রামের শেষ থেকে শুরু ডাকাতিয়া বিলের। বিলের প্রবেশমুখে ডাকাতিয়া খাল। খালের দু'পাশ দিয়ে কুমড়ো ও লাউ গাছের লতা বিছানো। ঘাসের ওপর চিক চিক করছে শিশির।
খালের পানিতে কচুরিপানার ফাঁকে কলমি, হেলেঞ্চা শাকের মেলা। এ খাল দিয়ে ছোট নৌকায় প্রবেশ করতে হয় বিলে।
বিলে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশের বুকে উঁকি দেয় সূর্য। তখন ঘড়ি বলছে, সময় সাড়ে ৭টা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিলের মাছ ধরতে ভোর থেকেই ছোট ছোট নৌকা নিয়ে খালে নেমে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ী ও খামারিরা। বিল থেকে মাছ ধরে সকাল আটটা-নয়টার মধ্যে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন তারা।
ডাকাতিয়া খাল থেকে সুজন গায়েনের নৌকায় চড়ে বিলের ভেতরে প্রবেশ করি। যতোই ভেতরে যাওয়া, ততোই কুয়াশা জেঁকে বসে, সঙ্গে শীত। সূর্য হাজার চেষ্টা করেও তার উত্তাপ ছড়াতে পারে না।
বিল জুড়ে শারিপা, গোশালিক, শালিক, চড়ই, পানকৌড়ি, বকসহ অতিথি পাখিদের ওড়াউড়ি, কিচির মিচির শব্দ।
এখন গন্তব্য বিলের গভীরে।
আরো পড়ুন...
** বাগেরহাটের পালপাড়ার বাসনকোসন সারাদেশে
**সপ্তদশ শতকের বিস্ময় ‘অযোধ্যা মঠ’
**‘এখানে বড়-ছোট নাই, যাই করেন দশ টাকা’!
**বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অকেজো মাইক!
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এমসি/এএসআর