খুলনা থেকে: ভোরের সূর্য তখনও ঘুমিয়ে। মাঠে মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা।
সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জনপদের পথে পথে সবুজের সমারোহ। মুগ্ধ করা প্রকৃতি, রূপ-রঙে রোমাঞ্চকর বাংলার মুখ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে খুলনা থেকে পাইকগাছার উদ্দেশে যাত্রা। মোটরসাইকেলযোগে পিচঢালা পথ ধরে শহর মাড়িয়ে গ্রামের মেঠোপথ। পাকা ধানের মাতাল ঘ্রাণ, মাঝে মাঝে হলুদ ফুলে ঢাকা সরিষার মাঠ। পথের দু’ধারে মাঠে মাঠে কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততা শীতের শস্য তোলায়।
ফুলকপি, ওলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা জাতের শীতকালীন সবজিতে ভোর থেকেই জমজমাট গ্রামীণ হাটগুলো। পথের ধারের গ্রামগুলোতে ফল-ফসলের সম্ভার।
মাঠের কোণে ধান শুকানো আর সেদ্ধ করতে ব্যস্ত গাঁয়ের বঁধূরা। গ্রামের সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাপন। ঝাঁক বেঁধে পাখিদের উড়ে চলা। সকাল গড়িয়ে দুপুর, মাঠে-ঘাটে শিশুদের শৈশবের দুরন্তপনা।
নদী-খালে জেলেদের মাছ শিকার। পথের ধারের ছোট ছোট ঘরে গ্রামীণ নারীরা ব্যস্ত রান্নাবান্নায়। মাটির চুলার ধোঁয়া উড়ে আসছে আশপাশে।
সুন্দরবন সংলগ্ন তিন জেলা বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার পথে পথে এমনই মনোরম পরিবেশ। শীতের ভোর কুয়াশা ঢাকা, দুপুরে মিষ্টি রোদের ঝলকানি, বিকেলে পড়ন্ত সূর্যের ছুটি চাওয়ার আকুতি, পশ্চিম আকাশে রক্তিম আভা, পাখিদের নীড়ে ফেরা নিয়ে যায় অন্য ভুবনে।
সুন্দরবন বা এই অঞ্চলে ঘুরে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে পথে পথে এইসব অপরূপ রঙ-রূপ-গন্ধ।
শুধু এই অঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলোই নয়, পথের মনোরম পরিবেশ আর মানুষের জীবনযাত্রাও আন্দোলিত করবে ভ্রমণ পিপাসুদের। তাই গ্রামীণ পথ আর সোঁদা মাটির ঘ্রাণ নিতে সুযোগ পেলে ঘুরে আসুন খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের কোনো গাঁয়ে।
আরও পড়ুন
** ‘বাঘ’ থেকেই কি ‘বাগেরহাট’?
** মাজার মোড়ের চা-পানেই তৃপ্তি !
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
জেডএস/এসএনএস