ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

বাংলানিউজের আলোচনায় সুন্দরবনকে তুলে ধরার আহ্বান

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
বাংলানিউজের আলোচনায় সুন্দরবনকে তুলে ধরার আহ্বান বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: সুন্দরবনে পর্যটন শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা

সুশীলনের টাইগার পয়েন্ট গেস্ট হাউস: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের উদ্যোগে আয়োজিত সুন্দরবনের পর্যটন বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুন্দরবনকে তুলে ধরার ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে যত প্রচারণা দরকার তা তা করতে হবে। একইসঙ্গে পর্যটনের উপকারিতা বিষয়ে স্থানীয় জনগণকে বুঝিয়ে তাদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সর্বস্তরে পর্যটনকেন্দ্রিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে সুশীলনের টাইগার পয়েন্ট গেস্ট হাউসের রাজা প্রতাপাদিত্য কনফারেন্স হলে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার পর্যটন বিষয়ে ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: সুন্দরবনে পর্যটন’ শীর্ষক এ বিশেষ আলোচনা শুরু হয় সকাল ১০টায়, শেষ হয় দুপুর সোয়া ২টায়।

সুন্দরবনে পর্যটন শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথিবাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ এনামুল কবীর, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজ, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নূরুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, সিকান্দার আবু জাফর ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, সুশীলনের সভাপতি চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার (এডমিন অ্যান্ড স্টেট) মোসলেহ উদ্দীন তুহিন, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান, বরসা রিসোর্টের ম্যানেজার আমানউল্লাহ আমান, বরসা ট্যুরিজমের সমন্বয়ক শামীম পারভেজ, সুন্দরবন মালঞ্চ ট্যুর গাইডের সভাপতি ফারুক হোসেন, সুন্দরবন আদিবাসী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা ও নীলডুমুর ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরীড. অপরূপ চৌধুরী বলেন, এই আলোচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা-সম্ভাবনার কথা এসেছে। এখন কিছু কথা বলবো, যেগুলো নীতি-নির্ধারণের বিষয় সেগুলো ঢাকায় গিয়ে উপস্থাপন করবো।

শুরুতেই বাংলানিউজের বছব্যাপী আয়োজন নিয়ে কথা বলেন পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পর্যটন নিয়ে আপনারা শুরু করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে। এরপর করেছেন বৃহত্তর সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে। এবার করছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন নিয়ে। এ সুন্দরবন আমাদের শোর্য-বীর্যের প্রতীক। এ স্থানটি বেছে নেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, পর্যটন নিয়ে বাংলানিউজের এ আয়োজন এই মুহূর্তে বিশ্বের কোটি কোটি অনলাইন পাঠক দেখছে। এটা আমাদের পর্যটনকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করছে।

বন বিভাগের পাস সহজ করতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা যায় কি-না সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আলোচনা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশ করতে গেলে পাস কার্ডের প্রয়োজন হয়। এটি কীভাবে সহজ করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনআলোচনার সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন,  এতো দুর্গম এলাকায় পর্যটন নিয়ে কাজ করা কঠিন। তবু বাংলানিউজ তা করেছে।  পর্যটকদের যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা জানতে বাংলানিউজ বিভিন্ন পথে পর্যটন স্পটগুলোতে যেয়ে থাকে। এর আগে কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবানে একইভাবে ঘুরে বেড়ায় বাংলানিউজ টিম। এবারও আমরা সুন্দরবনে বিভিন্ন পথে রিপোর্টারদের পাঠিয়েছি। পর্যটকরা কিভাবে আসবে তা দেখাতেই বিভিন্ন পথে আসা এবং পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরা।

বাংলানিউজ এডিটর ইন চিফ জানান, এই আলোচনার প্রস্তাবগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে দেওয়া হবে। সরকার প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নেবে।

আলমগীর হোসেন পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা স্পটগুলোতে এমন কিছু নির্দেশনা লিখে রাখা দরকার, যে কোথায় কী করবেন, কী করবেন না।   সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও বোঝাতে হবে, যারা ঘুরতে যাচ্ছেন, তারা যেন সুন্দরবন বিপন্ন হয় এমন কিছু না করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ এনামুল কবীর বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প পর্যটন। এ শিল্পকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের চিন্তা-ভাবনা কাজে লাগানো দরকার।

একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজ বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে পর্যটনের প্রসার করতে গিয়ে যেন প্রকৃতির ক্ষতি না হয়। বিশেষ করে যারা সুন্দরবনে বেড়াতে যান, তাদের অনেকই ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ মানেন না। এতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য  নষ্ট হয়। এজন্য কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলতে ট্যুরিস্টদের সচেতন করা জরুরি। একইসঙ্গে ন্যাচারকে আনডিস্টার্বড রেখে পর্যটন কেন্দ্র করা দরকার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নূরুজ্জামানসুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নূরুজ্জামান বলেন, সত্যিকারভাবে সুন্দরবনকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে হলে সাতক্ষীরার প্রশাসন ব্যবস্থাকে ট্যুরিস্টকেন্দ্রিক করতে হবে।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরাকে পর্যটনবান্ধব করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। ভৌত-অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

সিকান্দার আবু জাফর ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ জুনায়েদ আকবর বলেন, একজন পর্যটক শুধুই দর্শনার্থী। তাই সুযোগ-সুবিধা না পেলে তারা আসবেন না, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করে তাদের আনতে হবে। এই এলাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে হলে রাস্তা দরকার। বেহাল রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন এবং যাতায়াতে সময় কমিয়ে আনতে সাতক্ষীরা থেকে পাইকগাছা বা যশোর থেকে পাইকগাছা হয়ে শ্যামনগর পর্যযন্ত রাস্তা থাকা দরকার।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার (এডমিন অ্যান্ড স্টেট) মোসলেহ উদ্দীন তুহিন মন্তব্য করেন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের উদ্যোগ পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ বলে দাবি জানান।

পর্যটকদের সুবিধার জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন করার দাবি জানান জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান।  ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: সুন্দরবনে পর্যটন’ শীর্ষ আলোচনায় আগত অতিথিরাআতরজান মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী বলেন, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবিকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। জেলে-মৌয়ালরা বনের ভেতরে প্রবেশ করে বা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়। মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফিরে আসার পরও অনেকে পেশা পরিবর্তন করতে পারে না। এ অবস্থায় পর্যটকদের বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে। কেবল দেশি পর্যটক নয়, বিদেশিদের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ভবতোষ মণ্ডল বলেন, সুন্দরবন আমাদের মা। আইলার সময় এই সুন্দরবন আমাদের সন্তানের মতো বুকে আগলে রেখেছে। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার পরিবর্তন চাই আমরা। আর এই পরিবর্তন সম্ভব ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে। আমাদের রয়েছে বিশাল মৎস্য ভাণ্ডার। এই সম্পদ দিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি।  ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: সুন্দরবনে পর্যটন’ শীর্ষক আলোচনাসুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুন্সীগঞ্জের শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষকে সুন্দরবনে ঘোরার জন্য খুলনা থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হয়। এটা খুবই কষ্টদায়ক। এ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুই-তিন দিন ঘুরে পর্যটক হিসেবে অনুমতি পাই। অনুমতি পেলেও বলা হলো, গার্ড প্রস্তুত নেই।

সুন্দরবন মালঞ্চ ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় শিক্ষিত তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইকোট্যুর গাইড হিসেবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

সড়ক পথে সাতক্ষীরা থেকে খুলনা প্রায় ৬ ঘণ্টার রাস্তা। খুলনা থেকে সুন্দরবনে যাওয়ার পাস আনা-ই সাতক্ষীরার পর্যটনে বড় বাধা বলে মনে করেন বরসা রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আমান উল্লাহ আমান।

নীলডুমুর ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস বন্ধ থাকে। ফলে বনে প্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পর্যটকদের। বিকল্প ব্যবস্থায় রেঞ্জ অফিস যদি সবসময় খোলা রাখা যায়, তাহলে এই অঞ্চলে পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে।

পর্যটন বিকাশে মুন্ডা সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জানিয়ে সুন্দরবন আদিবাসী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা বলেন, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ-গান আছে। এসব নাচ-গানের মাধ্যমে আমরাও ট্যুরিস্টদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্নভাবে কাজ করতে পারি। একটু প্রশিক্ষণ দিলেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবো।

স্বাগত বক্তা বাংলানিউজের চিফ অব করেসপন্ডেন্টস সেরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, নিউজ করতে গিয়ে ১৫ জন রিপোর্টার ১৪ দিন ঘুরেও স্পট শেষ করতে পারিনি। কিন্তু এর আগে লোকজন গিয়ে স্পট খুঁজে পেতেন না।

খুলনা ব্যুরো এডিটর মাহবুবুর রহমান মুন্না সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তৃণমূলে এখনও অনেক ভালো মানুষ আছেন- যারা সুন্দরবন অঞ্চলকে সারাবিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আমাদের এই আয়োজনে পাশে ছিলেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ বাংলানিউজ।

মূল আলোচনা পর্ব শুরুর আগে বাংলানিউজ টিম গত ১০ দিন সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের জেলাগুলোর যেসব স্পট ঘুরে রিপোর্ট করেছে, প্রজেক্টরের মাধ্যমে তার একটি প্রেজেন্টশন তুলে ধরেন সিনিয়র আউটপুট এডিটর জাকারিয়া মন্ডল, চিফ অব করেসপন্ডেন্টস সেরাজুল ইসলাম সিরাজ ও অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর আসিফ আজিজ। এ পর্বে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট ও ফটো করেসপন্ডেন্টরা প্রত্যেকে তার প্রতিবেদন ও ছবি নিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

এরপর সঞ্চালনা করে মূল আলোচনা এগিয়ে নেন ল’ এডিটর এরশাদুল আলম প্রিন্স ও লাইফস্টাইল এডিটর শারমীনা ইসলাম।

সরকার ঘোষিত ‘পর্যটন বর্ষ-২০১৬’ এর শুরু থেকে বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশ ঘুরে’  কর্মসূচি চলছে। কক্সবাজার, বৃহত্তর সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের পর এবার সুন্দরবনের পর্যটন নিয়ে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।

এ আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, সুশীলন, বরসা রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম,  এএফসি হেলথ লিমিটেড, ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনা, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট।
logo বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এসএম/এসআইএইচ/জেডএফ/আরটি/এটি/এসএনএস/এইচএ/এসআই/জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ