কলাগাছিয়া (সুন্দরবন) ঘুরে: সাতক্ষীরার বুড়ি গোয়ালিনী ঘাট থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে কলাগাছিয়া। বুড়ি গোয়ালিনী থেকে নৌকাযোগে আসা যায় এখানে।
প্রায়ই ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে কলাগাছিয়া। শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির স্বাদ পেতে হাজারো মানুষ ছুটে আসে এখানে। তবে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী থাকলেও আলাদা করে নজর কাড়ে বানরের দল।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সুন্দরবনের কলাগাছিয়ায় গিয়ে নজর কাড়ালো বানরের মনোমুগ্ধকর খেলা।
ছোটবেলায় দেখতাম, ঢাকা শহরে বানরের খেলা দেখাতেন মাদারীরা। অল্প সময় খেলা দেখে মন ভরতো না। বানরসমেত মাদারীদের এখন দেখা যায় না। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া এসে ফিরে পেলাম শৈশবস্মৃতি। শয়ে শয়ে বানর অবিরাম খেলে চলছে নিজের মতো করে। আর চোখ ভরে দেখছে পর্যটকরা।
কলাগাছিয়ায় ঢোকার মূল গেটে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানালো বেশ কয়েকটি বানর। বাকিরা তাদের রাজ্যে আপনমনে এ গাছ থেকে ও গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতির দৃষ্টিনন্দন পাখি রয়েছে এখানে।
রয়েছে গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। গোলপাতা ঘরের ছাউনি ও জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত হয়। সবুজে ঘেরা এই কলাগাছিয়ায় পর্যটকদের পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখার জন্য বনের মধ্যে কাঠ দিয়ে ওয়াক ওয়ে তৈরি করে রাখা হয়েছে। ভেতরে রয়েছে একটি নির্মল জলাধার।
ঢাকা থেকে কলাগাছিয়ায় বেড়াতে এসেছেন নাজমুল আহসানও তার পরিবার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট ও দোবেকি ফরেস্ট অফিস ঘুরে দেখলাম। কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে কলাগাছিয়া।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে বানরের খেলা।
নাজমুলের স্ত্রী সাজেদা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, বানরের খেলা দেখে সত্যিই অভিভূত হয়েছি। আরও ভালো লেগেছে এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখে। হাঁটার জন্য কাঠের ওয়াক ওয়ে থাকার কারণে বেশি সুবিধা হয়েছে।
ইমতিয়াজ আহমেদ, লিটন, মোহাম্মদ কামাল চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন সুন্দরবন দেখতে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখলাম কিন্তু কলাগাছিয়ার জুড়ি নেই।
কলাগাছিয়ার ঘাটের নৌকার মাঝি আব্দুল হালিম জানান, শীত এলে সুন্দরবনে পর্যটকের সমাগম বেড়ে যায়। তবে সুন্দরবনের অন্যান্য পয়েন্টের চেয়ে কলাগাছিয়ায় লোক সমাগম বেশি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
আরএটি/এসএনএস