নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন। তিনি মামলা মোকদ্দমায় দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে না থাকলেও এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
একই আসনে আরেক ব্যবসায়ী নেতা ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলমও মনোনয়ন প্রত্যাশী। ফতুল্লা থানা বিএনপি সভাপতি শাহ আলম নেতাকর্মীদের নিয়ে চেষ্টা করছেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে থাকতে। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে একদিনের জন্যও মাঠে নামেননি তিনি। তবে তার পক্ষে মাঠে কাজ করেছে নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন। তিনি বিএনপির বিগত তিনমাসের সরকারবিরোধী টানা আন্দোলনের সময় মাঠে ছিলেন না। তখন দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবরও নেননি তিনি, তবে সম্প্রতি তিনি মাঠে নেমেছেন আটঘাট বেঁধে। দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত বসে দলীয় সাংগঠনিক কাজকর্ম করছেন তিনি। দলের অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন গিয়াস।
তবে গিয়াসউদ্দিন সক্রিয় হলেও সম্প্রতি কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলমের বাড়িতে কয়েকটি অনুষ্ঠানে এসে যোগ দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নানা বক্তব্য রাখায় কিছুটা ব্যাকফুটের রাজনীতিতেই বর্তমানে অবস্থান করছেন গিয়াসউদ্দিন।
ভিন্ন অবস্থা দলের আরেক প্রার্থী শাহ আলমের। তিনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়ন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত বসছেন এ নেতা। ব্যবসায়ী নেতা হওয়াতে দলের নেতাকর্মীদের আগে কাঙ্ক্ষিত সময় দিতে না পারলেও এখন তিনি সময় দিচ্ছেন। এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসাতেও নিয়মিত অনুদান দেয়াসহ বিভিন্ন অসহায় মানুষকে সহায়তা করে তাদের পাশে থাকতে চেষ্টা করছেন শাহ আলম।
৫টি ইউনিয়ন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান তিনি করেছেন নিজের বাসায় ছয় দিনে। তবুও একটি ইউনিয়ন ও থানায়ও যাননি তিনি। শাহ আলমের এ ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই এসেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেন, দলে সকলের দায়িত্ব তো আর এক না। আমাকে বিগত সময়ে দল যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে দায়িত্বই আমি পালনের চেষ্টা করেছি। যেহেতু দল করি, আগামীতেও দলের যে কোনো দায়িত্ব পালনে মাঠে থাকবো। আর নির্বাচনে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার হয়েই নির্বাচন করবো, নির্বাচনের আগে তো আর কোন কোন্দল থাকে না, তখন দলের প্রার্থীকে জয়ী করাই প্রধান লক্ষ্য থাকবে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ আলম বলেন, নির্বাচনে যদি দল, নেত্রী (খালেদা জিয়া) আমাকে মনোনয়ন দেয় তবে আমি নির্বাচন করবো, আর যদি দল আমাকে না দেয় তাহলে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে আমি তার নির্বাচনই করবো। দলের সিনিয়র নেতারা আমাকে ভালোবাসে, আমার দলীয় কর্মকাণ্ডে খুশি তাই আমরা যেভাবে চাই সেভাবেই জেলার কমিটি হয়। দলের কর্মীরাও আমাকে অনেক ভালোবাসে। অনেক নেতা অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলের কর্মী খুঁজে পান না। কিন্তু আমরা দলের ২০০ জন কর্মীকে দাওয়াত দিলে হাজার কর্মী চলে আসে। আমরা সরকারি দলের সাথে আঁতাত করেও চলি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএম/