ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

ইশতেহারে যা চান খুলনার ভোটাররা

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইশতেহারে যা চান খুলনার ভোটাররা ফটো: বাংলানিউজ গ্রাফিকস

খুলনা: এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী মহাসড়কে ওঠে গেছে। চারিদিকে বাজতে শুরু করেছে ভোটের দামামা! আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দুয়ারে হাজির হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।

বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সরকারের গঠনের পর নানা পরিকল্পনা নিয়েও চলছে তাদের ইশতেহার প্রণয়ন।

দুয়েক দিনের মধ্যেই ইশতেহার ঘোষণা করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ; দেরি করবে না বিএনপিও।  

কী থাকছে সেই সব ইশতেহারে? এসব নিয়ে সাধারণ ভোটারদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও দাবি আদায়ে কৌতূহলের কমতি নেই সামাজিক সংগঠনগুলোর। সেই সঙ্গে তাকে নিজ নিজ এলাকা ও গোষ্ঠীর উন্নয়নের চাওয়াও!

ইশতেহারে খুলনার উন্নয়নে করণীয় এবং কী কী পরিকল্পনা তারা চান-সেসব বিষয়ে সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে অভিমত ব্যক্ত করেছেন একাধিক সামাজিক সংগঠনের নেতারা।  

নির্বাচনী ইশতেহারে এ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে বলেও আশা করেন তারা।  

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো অধিকাংশ সময়েই ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যান রাজনৈতিক নেতারা। ক্ষমতায় টিকে থাকা ও বিরোধীদলকে দমন করা হয় তখন মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও দাবি করবো এবার ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলো খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে এক হাজার বেডে উন্নীতকরণ, আবু নাসের হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা, জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ খুলনার উন্নয়নের দিকগুলো উল্লেখ রাখার।

‘খুলনায় নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি হচ্ছে। সেগুলোতে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষের বিষয়টি ইশতেহারে উঠে আসা উচিত,’ বলেও মনে করেন তিনি।  

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রূপসা ও ভৈরব নদের তীর ঘেঁষে শহররক্ষা বাঁধ, পরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণসহ খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকায়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া ও তা বাস্তবায়নের বিষয়ে ইশতেহারে থাকতে হবে।

এছাড়া ধীর গতিতে চলমান খানজাহান আলী (র.) বিমান বন্দরের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে বিমান বন্দরটি চালুর বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ইশতেহারে থাকা প্রয়োজন। খুলনায় আইটি ভিলেজ বাস্তবায়নের বিষয়টির স্পষ্ট উল্লেখ প্রয়োজন।

খুলনা উন্নয়ন ফোরামের মহাসচিব এম এ কাশেম বলেন, আমরা ইশতেহারের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ ও পরিকল্পিত খুলনা চাই। উন্নয়নশীল দেশের একটি বিভাগীয় শহরের যেসব সুবিধা থাকে, তার সবই খুলনায় চাই। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কয়েক বছর পরপর পরিকল্পনা করে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে না।  

‘সম্প্রতি সময়ে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নের ব্যাপারে যেন রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে উল্লেখ থাকে। খুলনার তেরখাদা ও বটিয়াঘাটার দু’টি অর্থনৈতিক জোনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে ইশতেহারে যেন উল্লেখ থাকে। ’

খুলনার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলকারখানায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের কথা ইশতেহারে উল্লেখের দাবিও করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।