কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটারদের সামনে ইশতেহার তুলে ধরবেন প্রার্থীরা। ইশতেহারের নিরিখেই প্রার্থীকে বিবেচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন ভোটাররা।
মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন হচ্ছে বড় কথা। তবে এটাও সত্য ইশতেহারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে বাধ্যবাধকতা থাকে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা চাই।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা বলেন, আমাদের কথায় আর কাজে মিল থাকে না। আমরা ইশতেহার দেই সুন্দরভাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকি না। প্রার্থীরা ইশতেহারে যাই দেন, এটার ব্যতিক্রম যেন না হয়। আর সবচেয়ে বড় ইশতেহার মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করা।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা জাতীয় পর্যায়ের ইশতেহারে থাকা আবশ্যক। তাছাড়া প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, মাঠ পর্যায়ে কৃষি ভর্তুকি চলমান রাখা, শহর ও গ্রামের উন্নয়নের বৈষম্য দূর করা, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, শিক্ষার চলমান অবস্থার উন্নয়ন এবং গ্রামে শিক্ষার অবকাঠামো তৈরি করা আবশ্যকীয়। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি ইশতেহারে থাকা প্রয়োজন।
সিলেট মেট্টোপলিটন চেম্বারের পরিচালক তাহমিন আহমদ বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স সহজীকরণ চাই। ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে সবার দেওয়ার ক্ষমতাবৃত্তে আনা দরকার। এ কারণে সিঙ্গেল ডিজিটে এনে পরিধি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অনেক কিছু হয়েছে। সরকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে খুবই নাজুক অবস্থা। বিশেষ করে গত ৫ বছরে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি। আগামীতে সিলেট অঞ্চলে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন দেখতে চাই।
ফ্রিল্যান্স ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান ফাহিম বলেন, সিলেটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া করা যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি পাশাপাশি পরিবেশ দূষণরোধে পদক্ষেপ ইশতেহারে থাকা আবশ্যক।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এনইউ/আরআর