রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও ছাত্র সমাজের সংগ্রামী ভূমিকার প্রতি আস্থা রেখে সর্বস্তরের মানুষ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল সুন্দর জীবনের আশায়। রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অধিকারের পাশাপাশি সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ছুটে এসেছিল অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক মুক্তির আশায়। সে কারণে স্কুলছাত্র মতিউর জীবন দেয়, শ্রমিক মনু মিয়া। আজ সেই স্বপ্ন পূরণের দিন এসেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন পূর্ণতা পাবে গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তীতে- এই আমাদের প্রত্যাশা।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান অত্যন্ত গুরুত্ববহ ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের এক বৃহৎ প্রস্তুতিপর্ব এই গণঅভ্যুত্থান। মুক্তিযুদ্ধের মর্ম অনুধাবন করতে হলে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের বিশদ বিশ্লেষণের প্রয়োজন।
আলোচকরা বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। এই অভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ সংকেত। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আর্থ-সামাজিক-রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির স্বপ্নে পঞ্চাশ বছর আগে মানুষ পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামো ও সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল।
‘আজ গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতার আসন্ন সুবর্ণজয়ন্তীর পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে মানুষের সে স্বপ্নপূরণের দিন এসেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে- গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসকেবি/এএ