‘ধানসিড়ি সাহিত্য সৈকত’ ও ‘দূর্বা’র যৌথ উদ্যোগে প্রবর্তিত এ পুরস্কার কবি জীবনানন্দ দাশের ‘জন্মদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি’ ঘোষণা করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পুরস্কারের অর্থমূল্য দশ হাজার টাকা ও সম্মাননাপত্র জীবনানন্দের প্রয়াণদিবস আগামী ২২ অক্টোবর বরিশালে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্পণ করা হবে।
সম্প্রতি পুরস্কার চূড়ান্তকরণসভা কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, ‘ধানসিড়ি’র সম্পাদক মুহম্মদ মুহসিন, ‘দূর্বা’র সহযোগী সম্পাদক কবি সারফুদ্দিন আহমেদ এবং ‘ধানসিড়ি সাহিত্য সৈকত’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি শামীম রেজা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি জুয়েল মাজহার ১৯৬২ সালে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় সাংবাদিক জুয়েল মাজহার দেশের শীর্ষস্থানীয় নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক। তার প্রকাশিত কাব্য: ‘দর্জি ঘরে একরাত’, ‘মেগাস্থিনিসের হাসি’ ও ‘দিওয়ানা জিকির’। অনুবাদ গ্রন্থ: ‘কবিতার ট্রান্সট্রোমার’ ও ‘দূরের হাওয়া’।
কথাসাহিত্যিক আব্দুল মান্নান সরকারের জন্ম ১৯৫২ সালে পাবনার বেড়া উপজেলায়। পেশা অধ্যাপনা। তার প্রকাশিত উপন্যাস: ‘পাথার’, ‘যাত্রাকাল’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘নয়াবসত’, ‘পিতিপুরুষ’, ‘আরশিনগর’। গল্পগ্রন্থ: ‘নিরাকের কাল’, ‘দুই দিগন্তের যাত্রী’।
দ্বিবার্ষিক এ পুরস্কারের রীতি হচ্ছে- ‘ধানসিড়ি’ ও ‘দূর্বা’র প্রযোজনায় পাঁচজন কবি ও পাঁচজন কথাসাহিত্যিকের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেশের বিশিষ্ট ১০ জন সাহিত্যিক বা সাহিত্য-সমঝদারের কাছে পাঠানো হয়। ওই দশজনের নির্বাচনের বা ভোটের ভিত্তিতে একজন কথাসাহিত্যিক ও একজন কবিকে জীবনানন্দ পুরস্কার দেওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।
২০০৭ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন- মাসুদ খান ও মহীবুল আজিজ (২০১৬), কবি খালেদ হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম (২০১৪), কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন ও প্রাবন্ধিক শান্তুনু কায়সার (২০১৩), কবি কামাল চৌধুরী ও কথাসাহিত্যিক সুশান্ত মজুমদার (২০০৮) এবং কবি আসাদ মান্নান ও কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী (২০০৭)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এইচএ/