ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএমএ নির্বাচন

চমেক ইন্টার্নির বিরুদ্ধে প্রার্থীর হামলার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
চমেক ইন্টার্নির বিরুদ্ধে প্রার্থীর হামলার অভিযোগ

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গণসংযোগকালে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর প্রার্থী ডা. একিউএম জিসানুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গণসংযোগকালে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর প্রার্থী ডা. একিউএম জিসানুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষানবিশ (ইন্টার্নি) চিকিৎসক ডা. ইনজামামের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন বিএমএর সহসভাপতি (চট্টগ্রাম বিভাগ) প্রার্থী ডা. শেখ মো. শফিউল আলম।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ডা. শফিউল বলেন, যারা ন্যক্কারজনক এ হামলা চালিয়েছে তারা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামে স্লোগান দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।

এ হামলার সঙ্গে চমেক ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা সামনের সারির নেতারা সংশ্লিষ্ট ছিল না। ইন্টার্নি ডাক্তারের সঙ্গে কিছু বহিরাগত ও জুনিয়র ছাত্রনেতা ছিল। আমার বিশ্বাস, তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল নন।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে ডা. শফিউল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর শাহাদতের পর কঠিন সময়ে চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আজ ছাত্রলীগেরই উচ্ছৃঙ্খল কিছু সদস্য আমাদের একজন প্রার্থীকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়েছে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ মনোনিত’ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রার্থী ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

চমেক ক্যাম্পাস ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিএমএ নির্বাচনের কেন্দ্র হলে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে ‍পারবেন না জানিয়ে ডা. শফিউল বলেন, আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর তিন দফায় চমেক ক্যাম্পাসে ১৩টি ব্যানার টাঙিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যানারই বর্তমানে নেই। নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক গোপনে এবং অন্য একটি প্যানেলের যোগসাজশে প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজকে নির্বাচন কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করে পরদিন পদত্যাগ করেছেন, যা একটি সাজানো নাটক। ওই কেন্দ্রে চিকিৎসকরা ভয়ভীতিহীনভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন না। এখানে নির্বাচন হলে জাল ভোটের উৎসবে পরিণত হবে।    

এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মিনহাজ বলেন, বিএমএর নির্বাচন সবসময় কার্যালয়েই হয়ে আসছে। যদি কেন্দ্র পরিবর্তন করতেই হয় তবে চমেক ও আশপাশের স্কুল ছাড়া দামপাড়া পুলিশ লাইন স্কুল, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের মতো নিরাপদ স্থানেই উপযুক্ত হবে। নয়তো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চমেক ক্যাম্পাসও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

ডা. নাসির বলেন, প্রবর্তক স্কুল সংলগ্ন যে টিনের ঘেরা সেখানে আমরা ৪০ ফুটের বিশাল ব্যানার দিয়েছিলাম। তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তাই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিএমএর নির্বাচনী কেন্দ্র হতে পারে না।

এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। এখন কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো এখতিয়ার নেই। তাই নির্বাচন কমিশনের বাকি সদস্যদের মধ্য থেকে কাউকে হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দিতে হবে এবং নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে হবে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬

এআর/টিসি          

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।