চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নির্বাচনে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ভোটগ্রহণসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে থাকবে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিএমপি কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ, বিএমএ নির্বাচন কমিশন এবং অংশগ্রহণকারী দুই প্যানেলের প্রতিনিধিদের সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার, বিএমএ নির্বাচন কমিশনার ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা.আলাউদ্দিন মজুমদার এবং দুই প্যানেলের চারজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) আনোয়ার হোসেন।
২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর জামালখানে ডা.খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের দুটি প্যানেল নাসির-মিনহাজ পরিষদ এবং মুজিব-ফয়সাল পরিষদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রমতে, নির্বাচন কমিশনার আলাউদ্দিন মজুমদার নির্বাচনী আচরণবিধির কপি সিএমপি কমিশনারকে দেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে এবং বুথের বাইরে কোন প্রার্থী কিংবা তার সমর্থক চিকিৎসক আচরণবিধিতে উল্লিখিত যে কোন শর্ত ভঙ্গ করলে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেন তিনি।
সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার সভায় বলেন, এটা শিক্ষিত মানুষের নির্বাচন। আশা করছি সবাই শিক্ষিত মানুষের মতো আচরণ করবেন। এরপরও কেউ যদি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এবং নির্বাচন কমিশন আমাদের এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় তাহলে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেব।
এসময় নির্বাচন কমিশনার ভোটকেন্দ্রের কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে সেই বিষয়ে সিএমপি কমিশনারের কাছে পরামর্শ এবং সহযোগিতা চান। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের অনুরোধও করেন নির্বাচন কমিশনার।
সিএমপি কমিশনার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন এবং দুই স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
সিএমপি কমিশনার ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের প্রতিটি লাইন, মূল ফটক, প্রতিটি কক্ষে ঢোকার আগে এবং নির্বাচনী ক্যাম্পে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দেন।
এছাড়া বহিরাগতদের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করেন নির্বাচন কমিশনার।
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার এই বিষয়ে সভায় বলেন, বহিরাগতদের বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্সে থাকবে। যে কোন ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা, বল প্রয়োগের চেষ্টা কিংবা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
‘নির্বাচন একটা উৎসব। এই উৎসব দেখার জন্য কেউ ইচ্ছা করলে আসতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে যদি তার মোটিভটা পরিস্কার না হয় কিংবা তার আচরণ যদি সন্দেহজনক হয় তাকে আটক করতে বাধ্য হব। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায় কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। ’ বলেন সিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক কোন প্যানেলকে তাৎক্ষণিকভাবে বিজয় উল্লাস করতে দেওয়া হবে না।
সূত্রমতে, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদেরও কিছু শৃঙ্খলা মানার অনুরোধ এসেছে সমন্বয় সভা থেকে। সকল গণমাধ্যমের ক্যামেরাপার্সনরা একসঙ্গে হুড়োহুড়ি করে প্রবেশ না করে ২-৩টি করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অনুরোধ করেছেন নির্বাচন কমিশনার। এক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত দুই প্যানেলের প্রতিনিধিরা সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
আরডিজি/আইএসএ/টিসি