বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কুমিল্লার চান্দিনায় বোমামসহ আটক দুই জঙ্গি হাসান (৩০) ও জসিমের (৩২) স্বীকারোক্তি মোতাবেক কাউন্টার টেররিজম টিম রাতভর অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ২৯টি ছোট, বড় গ্রেনেড, ২৪০টি বোমা তৈরির সরঞ্জামের ব্যাগ, ৪০টি জেল বোমা, ৯টি চাপাতি, ৭টি কালো পাঞ্জাবি ও একটি ব্যানার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, আন্তর্জাতিক কোন জঙ্গি সংগঠনকে তারা অনুসরণ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত এ চক্রের নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তির আলোকে জানা যায় চক্রের সঙ্গে আরো ৮/৯ জন জড়িত রয়েছে। বোমাগুলো এখনো ঘটনাস্থলেই রয়েছে। সিএমপির বোমা বিশেষজ্ঞ দল এসে এগুলো ধ্বংস করবে। তা না হলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত অধিক গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিতকরণে চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় অভিযান চলছিল। ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চলাকালীন বেলা সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের অধিক গতি চিহ্নিত হয়।
পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে থামানোর পর বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীবেশী দুই যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় পুলিশ তাদের পেছনে ধাওয়া করলে, তারা বোমা ছোড়া অবস্থায় দৌঁড়ে একটি গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে এবং আহত অবস্থায় হাসানকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বোমা ও ১টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-০৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদৌলা রেজা, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমদ সুমন, সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই) মাহবুবুর রহমান, মিরসরাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার কাকলী, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৭
আরএ