ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বই দেখা চলছে মেলায়, ভালো বিক্রির আশা প্রকাশকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
বই দেখা চলছে মেলায়, ভালো বিক্রির আশা প্রকাশকদের একটি স্টলে বই কিনে ফুলের গাছ উপহার পেলেন শিক্ষার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বরাবরের মতোই চট্টগ্রামের বইমেলা ক্রমে জমে উঠছে। ২৬ দিনব্যাপী মেলার দ্বিতীয় দিন প্রায় সব স্টলেই পাঠকের আনাগোনা ছিল।

প্রকাশকরা জানিয়েছেন, এখনো বই দেখা চলছে মেলায়। পছন্দের লেখকের নতুন বইয়ের খোঁজ করছেন তারা।
শুক্র ও শনিবার এবং বিশেষ দিনগুলোতে ভালো বিক্রির আশা প্রকাশকদের।  

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিদ্যানন্দের স্টলে মায়ের সঙ্গে বই কিনতে আসে রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্কুলের নবম শ্রেণির মাহি। সে ১৯০ টাকা দিয়ে কিনেছে ‘রুশ দেশের রূপকথা’ বইটি। বইয়ের সঙ্গে বিনামূল্যে উপহার পেয়েছে সদ্যফোটা হলুদ গাঁদাসহ একটি চারা।  

বিদ্যানন্দের বিক্রয়কর্মী ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, পরিবেশ ও জলবায়ুর স্বাভাবিকতা রক্ষায় গাছ নিধন বন্ধে আমরা প্রতীকী গাছের ফাঁসির চিত্র তুলে ধরেছি আমাদের স্টলে। এর মধ্যে দিয়ে গাছ কাটার ভয়াবহতা তুলে ধরতে চেয়েছি আমরা। আমাদের বই খাতা তৈরি হয় কাগজ থেকে, কাগজ তৈরি হয় গাছ, বাঁশ থেকে। বই পড়ছি বা লিখছি কাগজ দিয়ে। আমরা চাই বই পড়ার পাশাপাশি একজন পাঠক অন্তত একটি গাছ হলেও রোপণ করবে। এ বার্তা দিতে চাই।

২০১৫ সাল থেকে আমাদের নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা আছে। প্রতিবছর স্টলে আমরা বিভিন্ন বার্তা দিয়ে আসছি। এ স্টলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ১৫-২০ জন কর্মী আছেন। আস্তে আস্তে জমে উঠছে মেলা। চট্টগ্রামে ছুটির দিনে বেশি বই বিক্রি হয়।  

বরাবরের মতোই বইমেলা মঞ্চে ছিল ছন্দসুরের খেলা, কথামালা। শত শত শিক্ষার্থী, নানা বয়সী মানুষ মঞ্চের অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন। লেখক-প্রকাশকরা ব্যস্ত ছিলেন স্টলে।  

সমাজের পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য খাপ খায়ানোই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমই ইউনির্ভাসিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. ওবায়দুল করিম। রোববারের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ এবং শিক্ষাবিদ ড. শামসুদ্দীন শিশির।  

তারা পরিবর্তিত সময় পরিবেশের সাথে শিক্ষার সমন্বয় করে সমাজ সংস্কার ও শিক্ষার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজকে সচেতন থাকা অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় জোর দিতে হবে। এতে উভয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আগামীর পরিকল্পনা প্রণয়ন সহজ হবে।  

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে চসিক পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ গুণী শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।