প্রতি পরিবারে ৭ জন হিসেবে ১০ হাজার পরিবারকে মশুর ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি এবং লবণ সরবরাহ করছে কারিতাস। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় দেওয়া চালের সঙ্গে ত্রাণ হিসেবে এসব খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
শুধু খাদ্যসামগ্রী নয়, রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে এক সেট তরকারির ডেকসি ও চামচ, ভাতের সসপেন ও চামচ, মেলামাইনের বাসন এবং মগ দিচ্ছে কারিতাস।
জানতে চাইলে কারিতাস, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক জেমস গোমেজ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে যৌথভাবে আমরা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি।
‘প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে ১৫ দিনের জন্য ৪ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম লবণ এবং ননফুড আইটেমসহ ১০ ধরনের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ১০ হাজার পরিবারে অন্ত:ত দুই মাস যাতে খাদ্যের কোন অভাব না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করছি। ’ বলেন জেমস গোমেজ
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতপালং ও মইন্যারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৭০০ পরিবারকে ১০ অক্টোবর প্রথম দফায় ত্রাণ দিয়েছে কারিতাস। বুধবার (১১ অক্টোবর) দিয়েছে আরও ৩ হাজার পরিবারকে।
১৫ দিন পরপর রোহিঙ্গা পরিবারগুলো ত্রাণ পাবে। ১৫ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার একসঙ্গে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেমস গোমেজ।
ত্রাণ বিতরণের সময় ছিলেন কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বিশপ জের্ভাস রোজারিও, নির্বাহী পরিচালক, ফ্রান্সিস অতুল সরকার, আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ, সিডিআই পরিচালক থিউফিল নকরেক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৭
আরডিজি/টিসি