শনিবার (১২ জানুয়ারি) নগরের কদম মোবারক এলাকায় মাসিক নারীকণ্ঠ পত্রিকার ‘বরণীয় গুণীজন: জীবনকথা ও কর্মকৃতি’ শীর্ষক নিয়মিত মাসিক আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নিজের শৈশব-কৈশোর, প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চতর শিক্ষা, ফ্রান্সে বসবাস ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদে দায়িত্বপালনসহ নানা অভিজ্ঞতার কথা শোনান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চমৎকার পারিবারিক বন্ধন, সততা ও শৃঙ্খলা একটি শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তিমূল হিসেবে কাজ করে। নিজের প্রসঙ্গে বলতে পারি মা-বাবার সহজ-সরল ও সুশৃঙ্খল পারিবারিক জীবনযাপনের বিষয়টি আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে।
তিনি বলেন, অতীতের অনেক ভালো দিক আছে। কিন্তু কেবল অতীতমুখী হয়ে থাকা উচিত নয়। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে বিশ্ব বহুদূর এগিয়ে গেছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবে এগোতে গিয়ে নিজের সত্তা ও সংস্কৃতি কোনোভাবে বিসর্জন দেওয়া যাবে না।
নারীকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আহমেদ মনসুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন নারীকণ্ঠের উপদেষ্টা, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ড. জয়নাব বেগম চট্টগ্রাম কলেজে দীর্ঘসময় অধ্যাপনার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কর্মময় জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার ও অনুসরণের বিষয় আছে।
নারীকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শাহরিয়ার ফারজানা বলেন, ড. জয়নাব বেগম নিরলসভাবে শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে স্মরণীয় অবদান রেখে চলেছেন। তার কর্ম ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা দেন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক সালমা রহমান ও ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পরিচালক নাসরিন সুলতানা খানম।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এমআর/টিসি