ঢাকা: চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) দিদারুল আলম বলেছেন, শুরুর দিকে বাছাই করা ছাত্রদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো ফল করানোর জন্য কোচিং করানো হতো, কিছু ফিও নেওয়া হতো। আবার কোনো কোনো স্কুলে বিনা ফিতে কোচিং করানো হতো। কিন্তু এখন কোচিং যে অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে ইতিবাচকতা অবশিষ্ট নেই। আদিরূপে কোচিং ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হতো, আর সেটি সম্ভব না হলে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ ধারা অনুসারে জরুরি জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বক্তব্য দেন।
এমপি দিদার বলেন, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করার নাম কোচিং।
আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কোচিং ব্যাপকতা লাভ করে আশির দশকে। বছর দশকের মধ্যে উদ্দেশ্যের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
অতিরিক্ত উপাজর্নের উপায় হিসেবে বিষয়টিতে প্রাধান্য দিতে শুরু করেন শিক্ষকরা।
‘কোচিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ভালো ফল করিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জন করা। এখন শুধু চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য নয়, ভর্তি চাকরি প্রভৃতির ব্যাপারেও কোচিং লাগে। শুরুর দিকে কোচিংয়ের শুভ উদ্দেশ্য বহাল থাকলে এত অভিযোগ উঠতো না। এ অবস্থায় এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবনস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।