বিকেল চারটায় কর্ণফুলী থানার দৌলতপুরে মরিয়ম আশ্রম দিয়াংয়ের পুরাতন কবরস্থানে ৬০০ খ্রিস্ট ধর্মশহীদের উদ্দেশে মঙ্গল প্রার্থনা, পাঁচটায় রোজারি গার্ডেন (আশ্রম) উদ্বোধন, সোয়া পাঁচটায় খ্রিস্টপ্রসাদীয় আরাধনা, সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় মা মারিয়ার প্রতি ভক্তি জানিয়ে মোমবাতি হাতে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
পরদিন শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মহা খ্রিস্টজাগ ও সন্ধ্যা ছয়টায় নগরের পাথরঘাটায় আর্চ বিশপ ভবনে আন্তঃধর্মীয় সমাবেশ হবে।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম আর্চডাইয়োসিসের মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ মজেস কস্তা।
তিনি বলেন, ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে পর্তুগিজ বণিকদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববঙ্গে খ্রিস্টবিশ্বাসেরও আগমন ঘটে।
‘প্রথম মিশনারি জেজুইট ধর্মসংঘের পুরোহিত ফাদার ফ্রান্সেসকো ফার্নান্দেজ দিয়াংয়ে পূর্ববঙ্গের প্রথম গির্জা নির্মাণ করেন ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পাথরঘাটা বান্ডেল রোড ও জামালখানে ২টি গির্জা নির্মাণ করেন। ’
আর্চবিশপ মজেস কস্তা জানান, চট্টগ্রামে খ্রিস্টভক্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার, দেশে ৩ লাখ ৮০ হাজার। যা দেশের জনসংখ্যার মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। দেশে চার্চ প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ৫৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭১১ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাদার গর্ডেন ডায়েস, লেনার্ড রিবেরু, টেরেন্স রড্রিক্স, তীর্থোৎসব মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক জেমস গোমেজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি