বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নগরের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রাক সমাবর্তন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা চাওয়ার জায়গায় ছোট।
তিনি বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন যারা দেশবরেণ্য মানুষ ছিলেন তারা পাঞ্জাবি-পায়জামা-কটি পড়তেন। তখন মনে মনে একটু দূরাশা জন্মে। ভাবি- তাদের মতো জামা পড়লে হয়তো আমিও বড়ো কিছু হতে পারবো। তাদের কাছাকাছি যেতে পারবো। সেই ভাবনা থেকেই এতদূর আসা।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, মুখে মুরগির মাংস নিতে পারি না। নিলেই চিকিৎসার অভাবে মরতে যাওয়া মানুষের কথা মনে পড়ে। অনাহারে থাকা মানুষের চেহারা ভেসে উঠে। আমার সমাজের মানুষ যদি সুখে না থাকে আমি সুখি হবো না।
‘আমরা বড় হওয়ার জন্য, টাকা উপার্জন করার জন্য জন্মাইনি। সুখী হওয়ার জন্য জন্মেছি। সামাজিক প্রেমের মাধ্যমেই সেটি সম্ভব। পারস্পরিক ভালোবাসার মাধ্যমেই সেটি সম্ভব’ যোগ করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের এ প্রতিষ্ঠাতা।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব জানার ভাব ধরে জ্ঞানী হওয়া যায় না। এখনো যে অনেক জ্ঞান অর্জন করা বাকি, সেটা বুঝতে পারাই প্রকৃত জ্ঞানীর বৈশিষ্ট্য। এজন্য নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন এবং তার উত্তরের মাধ্যমেই প্রকৃত সত্য খুঁজে নিতে হবে। যেভাবে সক্রেটিস করেছিলেন।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভূয়সী প্রশংসা করে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, অনেকেই ব্যবসায়ীক মনোবৃত্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে। শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা দেয় না। এসবের বিপরীতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে ব্যতিক্রমী ইউনিভার্সিটি হিসেবেই মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, শহরের ভেতর পাহাড়-সমতল-সবুজ জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা বিশাল এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আশা করি শিক্ষার্থীদের মানবিক মানুষ হিসেবে তৈরি করতে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাইদ আল নোমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমআর/এসি/টিসি