ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ব্যাংকের ভল্ট খুললেই জানতে পারে পুলিশ

সরওয়ার কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
ব্যাংকের ভল্ট খুললেই জানতে পারে পুলিশ ভল্ট এলার্ম সিস্টেমে নাম্বার যুক্ত করার অনুমতি চেয়ে থানার ওসিকে জনতা ব্যাংকের চিঠি

চট্টগ্রাম: ব্যাংকের ভল্ট খুললেই নোটিফিকেশন চলে যায় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইল নম্বরে। এই নোটিফিকেশন পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও যায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এরিয়া প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক ও সেকেন্ড অফিসারের মোবাইল নম্বরে। কেউ ব্যাংকের ভল্ট খুললেই জানতে পারেন তারা। এর মাধ্যমে ব্যাংকে চুরি বা ডাকাতির ঘটনা হ্রাস পাবে বলে মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এই ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন চালু রয়েছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে। তবে এসব ব্যাংকের সবগুলো শাখায় তা চালু নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কোনো কোনো থানার ওসি শুধু জনতা ব্যাংকের মেসেজ পান, কেউ কেউ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মেসেজ পান, আবার কেউ কেউ দুই ব্যাংকের মেসেজই পান।

ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন চালুর বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন থানার ওসিরা।

তারা জানান, ব্যাংকের ভল্ট খুললেই সঙ্গে সঙ্গে তারা মেসেজ পান। অফিসের সময়সূচীর বাইরে বা ছুটির দিনে ব্যাংকের ভল্ট খোলা হয় না। ওইসব দিনে বা রাতে মোবাইলে মেসেজ আসলে সতর্ক হওয়া যায়।

জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকে এ ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন চালুর অনুরোধ জানান ওসিরা। তবে তারা এই সিস্টেম চালুর পর সমন্বয় করার অনুরোধও জানান।

জনতা ব্যাংকের মেসেজ পান সদরঘাট থানার ওসি, কোতোয়ালী থানার ওসি ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিসহ কয়েকটি থানার ওসিরা। বাকলিয়া থানার ওসি মেসেজ পান জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের।

আকবরশাহ থানা, চকবাজার থানা, হালিশহর থানা ও কর্ণফুলী থানাসহ কয়েকটি থানার ওসিরা কোনো ব্যাংকের মেসেজ পান না বলে জানান।

তবে তারা সব ব্যাংকে এ ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন।

সদরঘাট থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন চালুর বিষয়টি ভালো উদ্যোগ। এতে করে ব্যাংকে চুরি বা ডাকাতি হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে আর ভল্টও নিরাপদ থাকে। ’

ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন অন্যান্য সব ব্যাংকে চালু করার অনুরোধ জানান ওসি নেজাম উদ্দিন।

বাকলিয়া থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মেসেজ পাই। আর কোনো ব্যাংকের পাই না। উদ্যোগটি ভালো তবে এর সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তাদের পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা প্রয়োজন। ’

জনতা ব্যাংকের স্ট্যান্ড রোড শাখার ব্যবস্থাপক জুয়েল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশনা পেয়ে ভল্ট সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশন চালু করা হয়েছে। জনতা ব্যাংকের সব শাখায় এই সিস্টেম চালু রয়েছে। ’

ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল বিশ্বাস বলেন, ‘এলার্ম সিস্টেম নোটিফিকেশনের কারনে কেউ ভল্ট খুললেই আমরা জানতে পারি। নোটিফিকেশনটি থানার ওসিদের নম্বরের পাশাপাশি জনতা ব্যাংকের এরিয়া প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক ও সেকেন্ড অফিসারের মোবাইল নম্বরে যায়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।