ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালুয়ার চাহিদা বেড়েছে শবে বরাতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
হালুয়ার চাহিদা বেড়েছে শবে বরাতে বম্বে রয়েল সুইটসে হালুয়ার চাহিদা বেড়েছে শবে বরাতে। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাহারি নামের বর্ণিল সব হালুয়ার পসরা সাজানো কাজীর দেউড়ির বম্বে রয়েল সুইটসে। একেকটির একেক দাম। ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রামের কার্টনে ভরা। প্রতিকেজি ৪০০ টাকা থেকে শুরু। সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত।  

একজন এলেন হাবসি হালুয়ার খোঁজে। বিক্রেতা বললেন, উপকরণের দাম বেশি পড়ছে তাই এখন আর বানাই না আমরা।

প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হাতিম আলী। তিনি জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে নানা ধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করছি আমরা।

সারা বছর হালুয়া বিক্রি করি। কিন্তু চট্টগ্রামে শবে বরাতে হালুয়ার চাহিদা বেশি থাকে। তাই অনেক পদের হালুয়া তৈরি করি এ সময়। তবে সব কিছুর প্রধান উপকরণ কিন্তু দুধই।

হালুয়ার চাহিদা বেড়েছে শবে বরাতেতিনি জানান, কাজুবাদামের হালুয়া প্রতিকেজি ৭০০ টাকা, মালাই হালুয়া, গাজরের হালুয়া, মাসকাট হালুয়া ৪০০ টাকা, আনজির হালুয়া ৬০০ টাকা, চকলেট হালুয়া ২৫০ টাকা, মিক্সড হালুয়া ৫০০ টাকা বিক্রি করছি।

হালুয়া কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শবে বরাতে চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে সুজি, ডাল, বুট, গাজরের হালুয়া, আটা-ময়দার রুটি তৈরি হয়। আত্মীয়-স্বজন, মসজিদ-মাজার, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে হালুয়া রুটি বিতরণ করা হয়। আমি কন্যার শ্বশুরবাড়িতে দেওয়ার জন্য কিছু স্পেশাল হালুয়া নিতে এসেছি।

রোদেলা বিকেলে ইফতারের পসরা সাজানো হয়েছে শবে বরাত উপলক্ষেএ ছাড়ার বিভিন্ন হোটেলে থালা ভর্তি হালুয়া সাজিয়ে রেখেছেন শবে বরাতের জন্য। প্রতি প্লেট সর্বনিম্ন ১০ টাকা। অনেকে টুকরা করে কেটে রেখেছেন হালুয়া। তা-ও প্রতিটি ১০ টাকা।

এদিকে, শবে বরাতে নফল রোজা রাখেন অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাদের জন্য ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন অনেক হোটেল-রেস্টুরেন্ট। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার রোদেলা বিকেল রীতিমতো রমজানের আদলে ইফতারসামগ্রীর পসরা সাজিয়েছে।

রোদেলা বিকেলের ব্যবস্থাপক মো. সামসুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ২ বছর ধরে শবে বরাতে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছি আমরা। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অনেকে নফল রোজা রাখেন। তাদের সুবিধার্থে আমাদের এ আয়োজন। সোমবারও (২২ এপ্রিল) ইফতার বিক্রি করবো আমরা।

তিনি জানান, প্রতি কেজি ছোলা (চনা) ৪০০ টাকা, জিলাপি ৫০০-৬০০ টাকা, একজনের দম বিরিয়ানি ২৮০ টাকা, স্পেশাল লাচ্ছা পরোটা ৫০ টাকা, চিকেন তান্দুরি ১১০ টাকা, চিকেন ললিপপ ৮০ টাকা, বিফ বটি কাবাব ২৪০ টাকা, প্রন তান্দুরি ১০০ টাকা, মাটন সিঙ্গাড়া ২০ টাকা, পাটিসাপটা ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

রোদেলা বিকেলে গাজরের হালুয়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।