একজন এলেন হাবসি হালুয়ার খোঁজে। বিক্রেতা বললেন, উপকরণের দাম বেশি পড়ছে তাই এখন আর বানাই না আমরা।
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হাতিম আলী। তিনি জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে নানা ধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করছি আমরা।
তিনি জানান, কাজুবাদামের হালুয়া প্রতিকেজি ৭০০ টাকা, মালাই হালুয়া, গাজরের হালুয়া, মাসকাট হালুয়া ৪০০ টাকা, আনজির হালুয়া ৬০০ টাকা, চকলেট হালুয়া ২৫০ টাকা, মিক্সড হালুয়া ৫০০ টাকা বিক্রি করছি।
হালুয়া কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শবে বরাতে চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে সুজি, ডাল, বুট, গাজরের হালুয়া, আটা-ময়দার রুটি তৈরি হয়। আত্মীয়-স্বজন, মসজিদ-মাজার, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে হালুয়া রুটি বিতরণ করা হয়। আমি কন্যার শ্বশুরবাড়িতে দেওয়ার জন্য কিছু স্পেশাল হালুয়া নিতে এসেছি।
এ ছাড়ার বিভিন্ন হোটেলে থালা ভর্তি হালুয়া সাজিয়ে রেখেছেন শবে বরাতের জন্য। প্রতি প্লেট সর্বনিম্ন ১০ টাকা। অনেকে টুকরা করে কেটে রেখেছেন হালুয়া। তা-ও প্রতিটি ১০ টাকা।
এদিকে, শবে বরাতে নফল রোজা রাখেন অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাদের জন্য ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন অনেক হোটেল-রেস্টুরেন্ট। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার রোদেলা বিকেল রীতিমতো রমজানের আদলে ইফতারসামগ্রীর পসরা সাজিয়েছে।
রোদেলা বিকেলের ব্যবস্থাপক মো. সামসুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ২ বছর ধরে শবে বরাতে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছি আমরা। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অনেকে নফল রোজা রাখেন। তাদের সুবিধার্থে আমাদের এ আয়োজন। সোমবারও (২২ এপ্রিল) ইফতার বিক্রি করবো আমরা।
তিনি জানান, প্রতি কেজি ছোলা (চনা) ৪০০ টাকা, জিলাপি ৫০০-৬০০ টাকা, একজনের দম বিরিয়ানি ২৮০ টাকা, স্পেশাল লাচ্ছা পরোটা ৫০ টাকা, চিকেন তান্দুরি ১১০ টাকা, চিকেন ললিপপ ৮০ টাকা, বিফ বটি কাবাব ২৪০ টাকা, প্রন তান্দুরি ১০০ টাকা, মাটন সিঙ্গাড়া ২০ টাকা, পাটিসাপটা ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
রোদেলা বিকেলে গাজরের হালুয়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এআর/টিসি