শনিবার (০৬ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি হলো- সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. মামুন (২১) ও মো. হেলাল উদ্দিন (৩০)।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে হাজির করা হলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বিজন কুমার বড়ুয়া বলেন, জবানবন্দিতে আসামিরা জানিয়েছে- ধর্ষণের পরিকল্পনা করেই তারা চারজনের মধ্যে একজন চালক বেশে ও অন্য তিনজন যাত্রী বেশে চাতরি চৌমুহনী এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। ওই কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডে কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে চন্দনাইশ বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। কালারমার দীঘি এলাকায় পৌঁছালে তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
এর আগে শুক্রবার (০৫ জুলাই) দিবাগত রাতে মো. মামুন ও মো. হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বুধবার (০৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে চৌমুহনীর কালারমার দীঘি এলাকায় ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় চার যুবক। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) চারজনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করে ওই কিশোরীর বড় ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এসকে/টিসি