বুধবার (১০ জুলাই) পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল হোসেন এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার অভিযান চালিয়ে ফয়'স লেক সংলগ্ন শান্তিনগর এলাকার পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় সেভেন স্টার গ্রুপের মামুন, হাসান, পারভেজ আহসানসহ কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করে পাহাড় কেটে এসব অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছিলো। যেটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরকে জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তালিকা অনুযায়ী নগরের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। গত ১৬ মে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এসব পরিবারকে ১৫ জুনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বাধা সত্ত্বেও রমজানে উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম পর্যায়ে মতিঝর্ণা পাহাড়, বাটালী হিল, পোড়া কলোনি পাহাড় এবং একে খান পাহাড় থেকে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা ৩৫০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর দিন গত ৩ জুলাই পরিবেশ অধিদফতর সংলগ্ন পাহাড় থেকে ৫০টি পরিবার উচ্ছেদ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ৭ জুলাই জালালাবাদ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন মধু শাহ পাহাড় থেকে ৩৪টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। তৃতীয় দিন ৯ জুলাই ট্যাংকির পাহাড় থেকে ১৬ দখলদারের অধীনে থাকা ৮০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। ১৭ জুলাই পর্যন্ত বাকি পাহাড়গুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এমআর/টিসি