ঢাকা, শনিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চন্দনাইশে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের কারখানা পরিদর্শনে ব্রি’র মহাপরিচালক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
চন্দনাইশে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের কারখানা পরিদর্শনে ব্রি’র মহাপরিচালক

চট্টগ্রাম: কৃষিখাতকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার এলাহবাদে আধুনিক কৃষিযন্ত্র উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে বাংলামার্ক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় নিত্যনতুন নানা কৃষিযন্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ সংযোজন ‘ব্রি গ্রেইন কালেক্টর’। যা দিয়ে চাতাল থেকে ধান গম সংগ্রহ করা হবে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই কৃষিযন্ত্র উন্মোচন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) কর্মকর্তারা।

বাংলামার্কের কারখানা পরিদর্শনকালে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, এই ধরণের কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনের ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলামার্কের এই উদ্যোগ কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করবে, যা কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং স্থানীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

ব্রি’র সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল বাকী বলেন, আগে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে কৃষকের অনেক কষ্ট করতে হতো। অধিক শারিরিক পরিশ্রম হতো। আবার উৎপাদনও কম ছিলো। এখন আধুনিক চাষাবাদে কৃষকের কষ্ট কমছে। একইসাথে খরচও কমছে। আবার উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে খাদ্য উৎপাদনে বিপ্লব হবে।

যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের (এসএফএমআরএ) প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম সাইফূল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষিতে কস্ট ইফেক্টিভ প্রযুক্তির দিকে নজর দিচ্ছি। এই লক্ষ্যে আমাদের গবেষণা দল কাজ করছে। প্রান্তিক কৃষকরা যাতে আধুনিক কৃষির সুফল ভোগ করতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলামার্কের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনে গেলে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা থাকবে।

বাংলামার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কৃষকদের কাছে স্বল্পমূল্যে উন্নত কৃষিযন্ত্র পৌঁছে দেওয়া। যাতে তারা কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন। পাশাপাশি দেশের খাদ্য উৎপাদন যাতে বাড়ানো যায় সেটাও আমাদের লক্ষ্য। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এক জমিতে বছরে ৩/৪ বার পর্যন্ত ফসল ফলানো সম্ভব। ’

এসময় অন্যদের মধ্যে এলএসটিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন, পিএসও ড. মো. গোলাম কিবরিয়া ভূঁঞা, বাংলামার্কের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।