ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগরের ৩৪ শতাংশ এলাকায় ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যুঝুঁকি

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
নগরের ৩৪ শতাংশ এলাকায় ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যুঝুঁকি ...

চট্টগ্রাম: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের তাপমাত্রা প্রতিবছরই বাড়ছে। বিশেষ করে চৈত্র ও বৈশাখ মাসে হু হু করে বাড়ে তাপমাত্রা। তাপ বাড়ার বিরূপ প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনে, প্রকৃতিতে, জীব ও উদ্ভিদ জগতে। তাপমাত্রার ওপর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, চট্টগ্রাম শহরের ৩৪ শতাংশ এলাকাই তাপ সুরক্ষিত নয়।

ফলে এসব এলাকায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। পাশাপাশি শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যেমন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে, তেমনি সব বয়সী মানুষও নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

  

‘A Special Pattern of Heat Wave Vulnerability Index for Chittagong City Corporation Area’ (চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার তাপ-তরঙ্গ সুরক্ষিত নয় সূচকের স্থানগত গঠন) শীর্ষক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি করেছেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ রায় রাজা।

গবেষণা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১৬টি আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত ও সেবা-সুবিধার মাত্রার ওপর বিশ্লেষণ করে প্রায় ৩৪ শতাংশ এলাকায় তাপ সুরক্ষিত অঞ্চল পাওয়া যায়নি। এসব এলাকায় জনসংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ার কারণে জনসংখ্যার চাপ অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। পাশাপাশি ভবনও গড়ে উঠছে খুব দ্রুত গতিতে। সব মিলিয়ে পরিকল্পিত নগরায়ণ হচ্ছে না। এসব কারণে লো ল্যান্ড, ওয়াটার বডি কমে যাচ্ছে। তাই এসব এলাকা তাপ সুরক্ষিত নয়।

অধ্যাপক দেবাশীষ রায় বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের ওপর গবেষণা চালিয়েছি। যেখানে ১৪টি ওয়ার্ড তাপ সুরক্ষিত নয়। অর্থাৎ সেখানে বসবাসরত মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডে ৬৫ বছর বয়সী মানুষ, শিশু ও খেটে খাওয়া মানুষ নানারকম ঝুঁকিতে আছে। অর্থাৎ ৬৫ বছর বয়সী মানুষ ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছে।

তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে আমরা তাপমাত্রা পরিমাপ করেছি। যেগুলো প্রচলিত তাপমাত্রার পরিমাপের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি তারতম্য হয়। গবেষণা পরিচালনা করার সময় আমরা এভারেজ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছি ৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।