তিনি বলেন, কোরবানির দিন আত্মীয়-স্বজন, গরিবদের জন্য নির্ধারিত মাংস ছাড়া নিজের অংশের মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। নয়তো মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট এমনকি পচে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
সঠিক পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পশু জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া পরবর্তী সংরক্ষণের জন্য মাংস প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট-বড় টুকরা করে নিতে হবে।
‘কয়েক ঘণ্টা পর পর নিচের প্যাকেট উপরে, উপরের প্যাকেট নিচে নামাতে হবে। ওলোট পালোট করে সব মাংস যাতে সমভাবে শীতল হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো ফ্রিজের মাঝখানে যে মাংস থাকবে সেগুলো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। ’
তিনি বলেন, ফ্রিজের তাপমাত্রা কত ডিগ্রিতে রাখা হয়েছে তা দেখতে হবে। আপনার ফ্রিজ কাজ করছে কিনা তা আগেই পরীক্ষা করে নিতে হবে। আবার আগে থেকে ফ্রিজ ধুয়ে, মুছে পরিষ্কার করে কিছু ছোট ছোট প্লাস্টিকের বোতলে পানি ভরে বরফ করে নিতে পারেন। মাংসের একেকটি স্তরে বরফ হওয়া প্লাস্টিকের বোতল দিলে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ফ্রোজেন মাংস একবার পানিতে ভিজিয়ে গলানোর পর দ্বিতীয়বার ফ্রিজিং করা যাবে না। এক্ষেত্রেও মাংস নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবে কয়েকবার গলিয়ে আবার ফ্রিজিং করলে সেগুলোতে আর মাংসের স্বাদ থাকবে না। গুণ তো দূরের কথা। তাই ছোট ছোট প্যাকেট করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি