বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সমুদ্রগামী জাহাজে ১৩ বছর (১৯৮০-৯৩) ক্যাডেট ইঞ্জিনিয়ার থেকে প্রধান প্রকৌশলী পদ পর্যন্ত চাকরির পর ১৯৯৩ সালে একাডেমিতে ‘প্রকৌশলী প্রশিক্ষক‘ পদে যোগদান করেন সাজিদ হোসেন। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদে চাকরির পর ২০০৯ সালে একাডেমির প্রধান হিসেবে ‘কম্যান্ড্যান্ট’ পদে নিয়োজিত হন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাজিদ হোসেন ১১ বছর বয়সে ৭ নম্বর সেক্টরে মধুপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার প্রকাশনায় রয়েছে ২১টি বই (মুক্তিযুদ্ধ, তথ্যপ্রযুক্তি, সাইন্স ফিকশন ও সাহিত্য), ২৬টি গবেষণাপত্র এবং প্রায় ২৫০টি নিবন্ধ; মে’২০১৯-এ আইমারেস্ট লন্ডন থেকে পেয়েছেন ‘আউটস্ট্যান্ডিং কনট্রিবিউশন ইন মেরিন এডুকেশন ২০১৮ পুরস্কার। তার পরবর্তী গবেষণাপত্র ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড ইটস ইনকরপোরেশন ইন মেরিটাইম এডুকেশন আগামী নভেম্বরে আইমারেস্ট লন্ডন ও মিলিটারি টেকনোলজিক্যাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে ওমানে অনুষ্ঠেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক সম্মেলনে উপস্থাপিত হবে।
২০০৯-২০১৯ সময়ে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে ‘ট্র্যাডিশনাল থেকে ডিজিট্যালে’ রূপান্তর, নেভিগেশনার সিমুলেটর স্থাপন, ৩ বছরের ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স পাস কোর্সটি ৪ বছরের অনার্স কোর্সে উন্নীত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে এমএসসি ইন মেরিটাইম সায়েন্স কোর্স প্রবর্তিত হয়েছে। তার নেতৃত্বে তার থিসিস ‘এ প্রপোজাল ফর স্টাবলিশমেন্ট অব এ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ’ অনুযায়ী ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি।
তার চলমান উদ্যোগে রয়েছে-যুক্তরাজ্য মার্চেন্ট নেভি ট্রেনিং বোর্ডের স্বীকৃতি, নটিক্যাল ইনস্টিটিউট ও আইমারেস্ট লন্ডনের স্বীকৃতি এবং কোরিয়া থেকে ফুল-মিশন সিমুলেটর ও ট্রেনিং শিপ সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এআর/টিসি