সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপনের জন্য গনি বেকারি থেকে জামালখান পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া, কার্পেটিং উঠে গেছে।
ওই অংশে খাস্তগীর-আইডিয়্যাল স্কুলসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-মহসীন কলেজসহ চকবাজার ঘিরে গড়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবীরা ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন হাজারও মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করেন, কিন্তু বন্ধ থাকায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। বিকল্প হিসেবে কেবি আবদুস ছাত্তার সড়কটি ব্যবহার হচ্ছে। তবে সেটি সরু হওয়ায় যানজট লেগেই থাকছে।
চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নীতকরণ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বহদ্দারহাট থেকে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত ১১টি কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার নাহিদ খান মুরাদপুর থেকে নিয়মিত তার কর্মস্থলে কাজির দেউড়ি যাতায়াত করেন। সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় তাকে চেরাগি মোড় হয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গণি বেকারি থেকে জামালখান যেতে লাগে দুই মিনিট। এখন মাঝেমধ্যে আধঘণ্টাও লাগছে।
অন্যদিকে কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেইজ-২) এর আওতায় সার্সন রোড থেকে থেকে চট্টেশ্বরি হয়ে গোলজার মোড় পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ি চলতেছে। ফলে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে গিয়েও ভোগান্তি হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কাটা হবে।
চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নীতকরণ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জামালখান থেকে গণি বেকারি মোড় অংশ শিগগির খুলে দেওয়া হবে। ওই অংশে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। যান চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ১১ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ অর্ধেক শেষ। জানুয়ারিতে পুরো কাজ শেষ। দুর্ভোগ কমাতে ২৪ ঘণ্টা কাজ চালু রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
এসইউ/এমআর/এসকে/জেইউ/টিসি