ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শস্য আমদানির আইপি চট্টগ্রাম থেকেও ইস্যুর সিদ্ধান্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
শস্য আমদানির আইপি চট্টগ্রাম থেকেও ইস্যুর সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চট্টগ্রামের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে পুনরায় খাদ্যশস্য আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ জনপদের আমদানিকারকদের ঢাকা থেকে আইপি সংগ্রহে দুর্ভোগ, সময় ও অর্থের অপচয়সহ যৌক্তিক দাবি তুলে ধরে চট্টগ্রাম চেম্বারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক চেম্বার সভাপতিকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই চিঠিতে বলা হয়- ‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম জেলাধীন আমদানিকারকদের আবেদন বিবেচনা করে সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম হতে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) ইস্যুর নিমিত্তে উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন, ২০১১ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের ধারা-৫ মোতাবেক পরিচালক, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং, খামারবাড়ী, ঢাকা কর্তৃক উপ-পরিচালক, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামকে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) ইস্যুর ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। ’

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম থেকে পুনরায় আইপি ইস্যুর অনুমোদন দেওয়ায় বর্তমান সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতি অকৃত্রিম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি ভবিষ্যতেও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের চলমান ধারাকে ত্বরান্বিত করতে ব্যবসাবান্ধব সরকারের এ জাতীয় ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই সঙ্গে চেম্বার সভাপতি দেশের সব অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সমান সুযোগ তথা ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে আইপি ইস্যু কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।   

বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে আইপি ইস্যুকরণ অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসাকে সহজীকরণের উদ্দেশ্যে আইপি ইস্যুকে অটোমেশনের আওতায় আনা হলেও পদ্ধতিগতভাবে তাতে আগের সনাতনী ব্যবস্থার ছাপ রয়ে যায়। অর্থাৎ অনলাইনে ফরম পূরণ করলেও ব্যাংক চালানের মূলকপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে ফিজিক্যালি দাখিল করা হতো। অন্যদিকে আইপি ফরম পূরণে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে তা ফরম জমা দেওয়ার দুই থেকে চার দিন পর জানা যায় এবং সংশোধনের জন্য পুনরায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে হয়। যা ঢাকা জেলার বাইরের একজন আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীর জন্য ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

কিন্তু একজন আমদানিকারক আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য রফতানিকারকের কাছ থেকে যে সময় পান তা খুবই স্বল্প (সাধারণত ৭ দিন) যা আইপি সনদ পেতে পেতে পেরিয়ে যায় এবং এর ফলে রফতানিকারক কর্তৃক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখা যায়। অথচ চট্টগ্রাম বা খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে আমদানিকারকরা এ কাজ আরও কম সময় ও খরচে করে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীর পক্ষ হতে চট্টগ্রাম চেম্বার বিভিন্ন সভা সেমিনারে দাবি জানানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরে পত্র মারফত প্রকৃত অটোমেশন না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের নিমিত্তে চট্টগ্রাম থেকে আইপি ইস্যুর আবেদন জানিয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।