বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পয়েন্টসম্যান পদে ৭ জনের পদোন্নতি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। অথচ দ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নন গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮৫ এর ১৬৩ ধারা অনুযায়ী (ফিডার পদে) নিয়োগ পাওয়া পদে কমপক্ষে ৩ বছর চাকরি করতে হবে।
জানা গেছে, নানা অনিয়মের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, যে ৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে তারা যোগদান করেছেন মাত্র এক মাস আগে। তারা এখনো বেতনও পাননি। এমনকি তাদের এসআর (সারভিস রেকর্ডও) সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু এরপরও আইন অমান্য করে তাদের পদোন্নতি পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে।
পদোন্নতি কমিটির আহ্বায়ক ডিপিও মোহাম্মদ উল্লাহ, সদস্য ডিসিও আনসার আলী এবং ডিটিও মো. নাসির উদ্দীন । তবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তা (ডিপিও) মোহাম্মদ উল্লাহ ৭ জনের অস্থায়ী অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার লক্ষ্যে পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে তাদের ৫ বছরের অস্থায়ী অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অস্থায়ী অভিজ্ঞতা যোগ্যতার মাপকাঠি কি না- এমন প্রশ্নের তিনি উত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পয়েন্টম্যান প্রয়োজন হওয়ায় তাদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। ডিটিও মো. নাসির উদ্দীন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়া ডিসিও আনসার আলীর মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পয়েন্টসম্যান সংকটের কারণে পদোন্নতি দেওয়া যেতে পারে। তবে ৩ বছরের স্থলে কমপক্ষে এক-দেড় বছর গেইটকিপার পদে চাকরি করতে হবে। আইনের পুরোপুরি ব্যত্যয় ঘটিয়ে পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ নেই। মূলত অবৈধ সুবিধা জায়েজ করতেই এমন অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
জেইউ/টিসি