শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকের বাদ্যে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন, চণ্ডীমন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার শারদীয় দুর্গোৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন মেধস আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুলবুলানন্দ মহারাজ।
এ বছর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার আওতাধীন ১৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৭২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেবের সঞ্চালনায় ও শ্যামল কুমার পালিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেধস আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সচ্চিদানন্দ রায়, চট্টগ্রাম আইনজীবী বিজয়া সম্মিলন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, বিপুল কান্তি দত্ত, বিশ্বজিৎ পালিত, অনুপ রক্ষিত, হরিপদ চৌধুরী বাবুল, সুগ্রীব মুজমদার দোলন, কল্লোল সেন, বিধান রক্ষিত, সুভাষ চৌধুরী টাংকু, স্বপন বণিক, নিউটন সরকার, অমিত লালা প্রমুখ।
দেবীপক্ষের শুভ সূচনা মহালয়া তিথিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
অতিথিরা পূজার্থীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আবহমানকাল হতে বাঙালি জাতি ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করে আসছে। সাত্ত্বিক শুদ্ধতায় আমরা পূজা করবো, সকলে মিলে উৎসব উপভোগ করবো।
এর আগে সকালে মহালয়া পূজা, চণ্ডীযজ্ঞ ও পূজার্থীদের মাঝে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন পণ্ডিত দীপায়ন সর্ববিদ্যা। পূজা শেষে প্রায় দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ পূজার্থীর মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসি/টিসি