বুধবার (৯ অক্টোবর) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।
তিনি বলেন, ৯২৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বহদ্দারহাট এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, মুরাদপুর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার এবং দেওয়ানহাট ও কদমতলী ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বৈঠকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নগরের শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এমএ মান্নান ফ্লাইওভার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়।
২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত চার লেনের আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের মার্চে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬৯৮ কোটি টাকা।
বটতলী স্টেশন থেকে ডিটি রোডের ধনিয়ালাপাড়া পর্যন্ত ফ্লাইওভার ২০১২ সালের জুলাইয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন করা হয় ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা।
দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ২৪ কোটি টাকা।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, সিডিএ ফ্লাইওভার নির্মাণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণের সরঞ্জাম নেই। তাই এসব ফ্লাইওভার চসিককে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এসি/টিসি