মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা, বিক্রয়, মজুদ, সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে সরকার। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সাগরে গেছেন জেলেরা।
নগরের চকবাজার, রেয়াজউদ্দীন বাজার, কাজীর দেউড়ী কাঁচাবাজার, চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেট, বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে ইলিশের বেচাকেনা। তবে সরবরাহ কম। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১শ-১২শ টাকা, আধাকেজি থেকে একটু বেশি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ৮শ-৯শ টাকা।
তবে মাছের বাজারে অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, রুই ২৩০-২৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৭শ-৮শ টাকা, কাতলা ২৪০-২৭০ টাকা, কোরাল সাড়ে ৫শ-৬শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর মাংস সাড়ে ৬শ টাকা, খাসির মাংস সাড়ে ৭শ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে দেশি মুরগি ও সোনালী মুরগির দাম। দেশি মুরগি ৪২০-৪৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৩০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১শ টাকায়।
কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম ১শ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, তিতকরলা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য কাঁচাবাজার ভেদে এ দামের তারতম্য দেখা গেছে।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই। খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা, খুচরা বাজারে ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১শ টাকা, রসুন ১৩০ টাকা ও আদা ১৪০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এসি/টিসি