শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের ‘শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সরকার গঠন করেন তখন ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মহামন্দা শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুতের সংকট প্রকট ছিল। বিদ্যুতের অভাবে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর লোডশেডিং ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে সাহসী উদ্যোগ নিলেন কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করার। তখন অনেকে চেঁচামেচি শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ভয় পাননি। ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভাড়া নিলেন। এটি না হলে দেশের আরএমজি খাত বসে যেত। তখনো অনেক অর্থনীতিবিদ সমালোচনা করছিলেন। এখন দেশে বিদ্যুৎ ও শিক্ষায় বড় সাফল্য এসেছে। চীন এখন ম্যানুফেকচারিং হাব। এর আগে ছিল জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড। আগামীতে বাংলাদেশ হবে ম্যানুফেকচারিং হাব।
ড. সেন বলেন, অনেক কৃষি জমি নষ্ট হওয়ার পরও কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। সবজি, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে আমরা মাইলফলক অর্জন করেছি। খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছাত্তার বলেন, দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি ১০০ বছরের বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিরসরাই ও আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে হবে দেড় হাজার বৃহৎ কারখানা। যাতে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বে টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে হচ্ছে এলএনজি টার্মিনাল। আগামী জুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন চালু হবে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি