ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিরাপদ নগর উপহার দিতে পারবো: মেয়র নাছির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
নিরাপদ নগর উপহার দিতে পারবো: মেয়র নাছির বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরবাসী সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠলে নিরাপদ নগর উপহার দিতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজারে ডা. জাকির হোসেন সিটি করপোরেশন হোমিওপ্যাথিক কলেজের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন,এ নগর আমাদের প্রিয় নগর।

আমাদের চিন্তার ভিন্নতা, ধর্মীয় পরিচয়ে ভিন্নতা থাকতে পারে। এ নগরে যারা বাস করছি তাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন হওয়া উচিত।
এ নগর বাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিত। জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠলে নিরাপদ নগর উপহার দিতে পারবো।

অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় চসিক এখন বেশি উন্নয়নকাজ করছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এটি সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সিটি করপোরেশনকে এখন প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছেন বলে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। আগে আধুনিক স্লটার হাউস (পশু জবাইখানা) ছিল না। চান্দগাঁওতে আধুনিক স্লটার হাউসের গড়ে তোলার জন্য টেন্ডারে যাবো। প্রতিঘণ্টায় ১০০ পশু হালাল উপায়ে জবাই করা হবে। এ নগরের জন্য এটি বড় অর্জন। রোগমুক্ত পশু জবাই করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। নিরাপদ, বাসযোগ্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার নগর হবে চট্টগ্রাম। এটি বাণিজ্যিক রাজধানী। এটিকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা চাই। নাগরিক দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলে প্রত্যাশিত নগর গড়া সম্ভব হবে।

মেয়র বলেন, নগরবাসীর যা কিছু প্রয়োজন আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে চসিক করার চেষ্টা করছে। এ হাসপাতালের জন্য ১০ তলা ভিত্তির ওপর ৬ তলা নির্মিত হয়েছে। এটিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিতে এটি পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের অনুরোধ জানাই। আউটডোর সেবা শুরু করা হবে।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, নগরের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ৪ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এ কলেজ ভবন তৈরি করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চসিকের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০ টাকায় স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ১৪ ওয়ার্ডে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয় রয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি ৪১ ওয়ার্ডে ৪১ হাজার পরিবারকে মেয়র হেলথ কার্ড দেওয়া হবে। তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, সিজারিয়ান অপারেশনসহ সব সেবা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রার কাম সেক্রেটারি ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় ওষুধ নীতিতে হোমিওপ্যাথিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হোমিওপ্যাথির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করেছে। মেয়র একজন হোমিওবান্ধব জনপ্রতিনিধি। আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। এ কলেজটি সরকারিকরণ ও স্নাতক কোর্স (বিএসএমএস) চালুর আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথি আইন ২০১৯ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকরা নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবেন।

মেয়রের ৪১ হাজার হেলথ কার্ডের মধ্যে হোমিওপ্যাথিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

অধ্যক্ষ ডা. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সদস্য ডা. আতাহার আলী, ডা. কায়েম উদ্দিন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, লুৎফুন্নেসা দোভাষ বেবী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন কুমার মজুমদার বাইশ মহল্লার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ সর্দার, সাবেক হোমিও বোর্ড সদস্য অধ্যাপিকা ডা. খুরশীদ জাহান বেগম, মাসিক হোমিও চেতনার প্রধান সম্পাদক ডা. আবদুল করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।