ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ই-সিগারেট নিয়ে সচেতনতা তৈরির তাগিদ ডিসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
ই-সিগারেট নিয়ে সচেতনতা তৈরির তাগিদ ডিসির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

চট্টগ্রাম: জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, ই-সিগারেট বর্তমানে একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুন প্রজন্ম সিগারেট থেকে কিছুটা সরে আসলেও ই-সিগারেটের দিকে ঝুঁকছে। তাই ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ ২০০৫ বাস্তবায়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর সহায়তায় এ সভার আয়োজন করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।

মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রচলিত সিগারেট থেকে ই-সিগারেটে স্বাস্থ্যঝুঁকি কম বলে মনে করেন অনেকে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর।

কারণ- ই-সিগারেটে ব্যবহৃত লিকুইড ফ্ল্যাভারগুলো কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষ ধূমপান করলে চার ঘণ্টা ধরে তার ফুসফুসে সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া বিরাজ করে। ফলে ধূমপান করার পর সে যখন অন্য কারো সঙ্গে কথা বলে তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে অন্যজনও পরোক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অধূমপায়ী হয়েও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।

তামাকজাত দ্রব্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই সকল ক্ষেত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ জেড এম শরীফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি। চট্টগ্রামে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের চিত্রসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরেন ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরো।

বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ পরিচালক মো. সুলতান মিয়া, মহিলা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক অঞ্জনা ভট্টাচার্য, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ, সহকারী তথ্য কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা, ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।