ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্নেহশীল হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্নেহশীল হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: পিআইডি

চট্টগ্রাম: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্নেহশীল অভিভাবকের মতো আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা আবশ্যক।

এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের হতে হবে স্নেহশীল, অভিভাবকতূল্য। ’

গ্র্যাজুয়েটদের সনদ বিতরণ করেন রাষ্ট্রপতি।                                             <div class=

ছবি: পিআইডি" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/cuet-bg420191205193134.jpg" style="margin:1px; width:100%" />

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অর্ন্তনিহীত মেধার সৃজনশীল বিকাশের সকল আয়োজন নিশ্চিত করা হয়। কেবল পুঁথিগত বিদ্যা নয়, দেশ বিদেশের সর্বশেষ তথ্য সমৃদ্ধ শিক্ষা ও গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে- তার উন্মোচন করবে বিশ্ববিদ্যালয়। ’

‘প্রকৌশল শিক্ষা যদিও হাতে কলমে শিক্ষা। তা সত্বেও এখানে সৃজনশীলতার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্রকৌশলীদের জ্ঞানের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম ও উন্নত পাঠদানের ব্যবস্থা থাকতে হবে। চুয়েট শিক্ষার মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা। ’

সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্র্যাজুয়েটদের একাংশ।  ছবি: পিআইডি

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক। একই সঙ্গে তা স্নাতকদের জন্য স্মরণীয় দিন। এ সনদের সম্মান তোমাদের রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, তোমাদের এ অর্জনে মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তোমরা তোমাদের সেবা, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম দিয়ে সনদের মান সমুন্নত রাখবে। ’

‘জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়েও দেশ গড়ার সংগ্রাম বেশি কঠিন। দেশ গড়ার সংগ্রামে আরও বেশি আত্মত্যাগ, আরও বেশি ধর্য, আরও বেশি পরিশ্রম দরকার। ’ জাতির পিতার এ কথাগুলো তোমরা বুকে ধারণ করে দেশ গড়ার কাজে ব্রত হবে এই প্রত্যাশা করি। ’

এবারের সমাবর্তনে ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুয়েট থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়া ২ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

আরও খবর>>
** 
গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত: রাষ্ট্রপতি
** উল্লাসে উৎসবে মেতেছে চুয়েট

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।