বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি ক্যাম্পাসে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সোশিওলজি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী।
আলোচক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিল্লোল সাহা।
সেমিনারে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে শিশুশ্রম রয়েছে। বস্তুত সুদূর অতীত থেকে দেশে দেশে শিশুশ্রম চলছে। এ শিশুশ্রম অত্যন্ত অমানবিক। পৃথিবীকে সুন্দর ও কল্যাণকর করতে হলে শিশুশ্রম দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৭৬০ এর দশকে ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়। সেই শিল্পবিপ্লবে শ্রমিক শোষণের অবস্থা ছিল করুণ। শিশুশ্রম এবং নারীশ্রম এ শিল্পবিপ্লব উন্মেষে নিয়োজিত ছিল।
ড. সেন বলেন, ১৮৪৪ সালে এঙ্গেলস ‘দি কন্ডিশন অব দ্য ওয়ার্কিং ক্লাস ইন ইংল্যান্ড’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। এতে তিনি নারীশ্রম ও শিশুশ্রমের বর্ণনা লিখেছেন। কী কষ্টের মধ্য দিয়ে নারী ও শিশুরা শ্রম দিতেন তা বর্ণনা করেছেন।
প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, দারিদ্রতাই শিশুশ্রমের অন্যতম কারণ। তিনি শিশুশ্রমিক হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা তুলে ধরে বলেন, দারিদ্রতার কারণে তাকেও শিশু অবস্থায় শ্রম দিতে হয়েছিল।
ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী বলেন, দেশে সাড়ে ৩৪ লাখ কর্মজীবী শিশু রয়েছে। যার মধ্যে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার পূর্ণকালীন ও ৫ লাখ ২ হাজার খণ্ডকালীন কাজ করে। এ কর্মজীবী শিশুদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই স্কুলে যায় না।
আলোচক হিল্লোল সাহা বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইনে কারা শিশু শ্রমিক এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। শিশুশ্রমকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শ্রমদানকারী শ্রমিককে শিশু শ্রমিক ও দ্বিতীয় ভাগে ১৪-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শ্রমিককে কিশোর শ্রমিক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
সোশিওলজি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষক সাদিকা সুলতানা চৌধুরীর উপস্থাপনায় সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআর/টিসি