রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ডবলমুরিং থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন ইউসিবি ব্যাংকের কদমতলী শাখার ম্যানেজার টুংকু হুমায়ুন মোহাম্মদ মোরশেদ।
ঘটনার পরপরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ইউসিবি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ইউসিবি ব্যাংকের কদমতলী শাখার ম্যানেজার টুংকু হুমায়ুন মোহাম্মদ মোরশেদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকের ভল্টে ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ছিল বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ভল্ট খোলার পর সেই টাকাই পাওয়া গেছে। নির্ধারিত চাবি দিয়ে ভল্ট খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হবার পর রোববার ভোররাতে ব্যাংকে ইউসিবিএল’র বিশেষজ্ঞ টিম আসলে ভল্ট খুলে ভল্টে গচ্ছিত টাকা বরাবর পাওয়া গেছে।
সন্দেহভাজন ২ জনকে খুঁজছে পুলিশ
ডবলমুরিং থানাধীন ধনিয়ালাপাড়া এলাকায় জিলানি মার্কেট নামে পাঁচতলা ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ইউসিবি ব্যাংকের কদমতলী শাখা অফিস।
ইউসিবি ব্যাংকের ফটকে লাগানো তিনটি তালা কেটে সেখানে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তারা ভল্ট ভাঙ্গার চেষ্টার পাশাপাশি ব্যাংকের ভেতর থেকে ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। পরে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় ফটকে নতুন একটি তালা লাগিয়ে দেয় তারা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুপুরের শিফটের নিরাপত্তা কর্মী ব্যাংকে গিয়ে দেখেন দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মী নওশাদ মিয়া (৪৩) প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি বিষয়টি ব্যাংকের ম্যানেজার টুংকু হুমায়ূন মোহাম্মদ মোরশেদকে জানান।
পুলিশের সংগ্রহ করা মার্কেটের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ৩টা ৫১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে যুবক বয়সী দুজন বেরিয়ে আসছেন ব্যাংকের ভেতর থেকে। প্রথমজন বেরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। দ্বিতীয়জন বেরিয়ে তালা লাগান। রাত ৩টা ৫২ মিনিট ৭ সেকেন্ডে দুজন বেরিয়ে যান।
ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, দুইজন ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ব্যাংকের উপরে একটি ফ্লোরে এনজিও’র জন্য একটি অফিস ভাড়া নিয়েছিলেন। তারা অফিস ভাড়া নিলেও সেখানে অফিসের কোনো কার্যক্রম শুরু করেননি। তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে রেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এসকে/টিসি