বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির নেতারা জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা।
তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাত জেলা থেকে নেতাকর্মী-সমর্থকরা জনসভায় যোগ দেবেন। সংগঠিতভাবে চার থেকে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী জমায়েতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জনসভায় সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী ও আবদুল্লাহ আল কাফি রতন বক্তব্য দেবেন। সভাপতিত্ব করবেন সিপিবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক মৃণাল চৌধুরী।
জনসভাকে সামনে রেখে প্রতিদিন পোস্টার ও লিফলেট বিলি, পথসভাসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে জানিয়ে অশোক সাহা প্রচারণায় বাধা পাবারও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা নগরের হালিশহরে পোস্টার লাগাতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক তাদের বাধা দিয়েছে। আরও বিভিন্ন জায়গায় দলের নেতাকর্মী, ছাত্র ইউনিয়নের বন্ধুদের বাধাসহ হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে। বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচির প্রচারেও বাধার ঘটনা প্রমাণ করে, দেশে গণতন্ত্রহীনতা আজ কোন পর্যায়ে গেছে ?’
‘আমরা মনে করি, বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবার ঐক্যবদ্ধ মোকাবেলা প্রয়োজন। নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে সিপিবি মাঠে আছে এবং থাকবে। একইসঙ্গে আমরা প্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের এবং যারা শোষণ-লুটপাটের বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
জেলা সিপিবি’র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নূরুচ্ছাফা ভূঁইয়া বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে সিপিবি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ পথসভা করেছে। এর ধারাবাহিকতায় এবার দেশ রক্ষা অভিযাত্রা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে আট বিভাগীয় শহরে জনসভার মাধ্যমে। ’
চট্টগ্রামে জনসভার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী, ২২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ, ২৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট, ২৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর, ১০ মার্চ বরিশাল, ২০ মার্চ ঢাকায় এবং ২৮ মার্চ যশোরে জনসভা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃত বড়ুয়া ও ফরিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এআর/টিসি