মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) ব্যানারে কর্মচারীরা তিনদিনের কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করেন।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার কার্যালয়ে কর্মচারীরা কোনো ধরনের দাফতরিক কাজে অংশ নেননি।
সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কর্মবিরতি উপলক্ষ্যে বাকাসস চট্টগ্রাম জেলার সভপতি মো. নাসির উদ্দীন চৌধুরীর সভপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি স্বদেশ শর্মা, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক উদয়ন কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও নুরুল মুহাম্মদ কাদের চৌধুরী।
বক্তব্য দেন নিউটন বড়ুয়া, প্রদীপ কুমার চৌধুরী, কাজলী দেবী, আবদুল মন্নান, বেগম সাদিয়া নুর, সফিউল আলম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শোয়াইব মো. দুলু, পরাগ মনি, অপর্ণা দাশ, সাইদুল ইসলাম, সৈয়দ মোহাম্মদ এরশাদ আলম ও শুভ্রা চাকমা।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, সচিবালয়ের একজন কর্মচারী ১৬তম গ্রেডে চাকরিতে যোগদান করে ৫ বছর পর ১০তম গ্রেডে পদোন্নতি পান। সচিবালয়, হাইকোর্ট, সংসদ, নির্বাচন কমিশন, পিএসসি ও মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত বিভাগসমূহে ১৬তম গ্রেডে যোগদান করে অনেকে সহকারী সচিব হয়ে চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন।
তারা বলেন, ইসিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদানের নজির আছে। রাজউকে ইউডি পদে আট বছর চাকরি করলে অফিস সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া যায়। তাছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগ, হিসাব রক্ষণ অফিস, সিএমএম কোর্ট, কৃষি বিভাগ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সংসদ সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে বিভিন্ন পদের পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করা হয়।
‘শুধুমাত্র ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত অফিস সহকারীরা চাকরিতে জীবন শেষেও কোনো পদোন্নতি না পেয়ে একই পদে থেকেই অবসরে যাচ্ছেন। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, এসডিজি বাস্তবায়ন ও রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত সহকারীদের কাজের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে পদোন্নতিসহ পদবী পরিবর্তন করার দাবি জানাই। ’
বাকাসস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল মুহাম্মদ কাদের বাংলানিউজকে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছি আমরা। বুধবারও আমাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এমআর/টিসি