শুধু জসিম উদ্দিন নন, করোনা ভাইরাসের কারণে নগরের লাখ লাখ মানুষ এখন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। তাদের সময় কাটছে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে।
জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কয়েকদিন ধরে স্বেচ্ছায় বাসায় আছি।
নগরের জামালখান এলাকায় থাকেন সাবরিনা চৌধুরী। জনতা ব্যাংকের এই কর্মকর্তাও বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। অন্যসময় সকাল সকাল উঠে বাসার কাজ করতে হলেও এখন ঘুম থেকে উঠছেন দেরিতে। কারণ এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সন্তানদের সকালে স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে না।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস ব্যস্ত জীবনে সুখ এনে দিয়েছে। অন্যসময় রুটিন মাফিক ব্যস্ততায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল। এখন সন্তান, স্বামীকে নিয়ে বেশ ভালোই আছি। তবে দীর্ঘদিন এ অবস্থা অবশ্যই ভালো লাগবে না।
অঘোষিত লক ডাউনে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন না। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের স্টেশন মাস্টার মো. শামছুজ্জামান বাপ্পি বাংলানিউজকে বলেন, তিন মাসের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে চিকিৎসাসেবা দিতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। গতকাল স্ত্রীর হঠাৎ ব্লিডিং হলে নগরের বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে নিয়ে যাই। আলট্রাসনোগ্রাফি করার প্রয়োজন পড়লে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় টেস্ট করা যায়নি।
মজবুত হচ্ছে পারিবারিক সম্পর্ক
করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই গৃহবন্দি থাকায় পারিবারিক বন্ধন হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নানা কর্মব্যস্ততায় এতোদিন মানুষজন পরিবারে সময় দিতে পারতো না। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন সবাই গৃহবন্দি। যাদের সময় কাটছে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে। এতে পারিবারিক যে সম্পর্ক তা মজবুত হচ্ছে। এখন বাবা-মা দুজনই সন্তানদের সময় দিচ্ছেন। এতে তাদের মায়া মমতা দৃঢ় হচ্ছে।
গৃহবন্দি জীবন স্ত্রী ও স্বামীর দাম্পত্য জীবনেও প্রভাব ফেলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি বৃদ্ধ মা-বাবার পাশেও থাকতে পারছেন সদাব্যস্ত সন্তানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি