ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পোকার আক্রমণ নেই ধানে, মিলবে আশানুরূপ বোরো ফসল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
পোকার আক্রমণ নেই ধানে, মিলবে আশানুরূপ বোরো ফসল ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: প্রতি বছর এ সময়ে কম-বেশি দুর্যোগ লেগেই থাকতো। কিন্তু এ বছর বন্যা, শিলাবৃষ্টি, ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। নেই পোকার আক্রমণও। তাই এ মৌসুমে আশানুরূপ বোরো ফসল ঘরে তোলা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ২ লাখ ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ বছর ২ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়।

বাকি জমিতে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের আবাদ করা হয়েছে।

আগামী মাস থেকে বোরো ধান কাটা শুরু হবে।

এরমধ্যে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আশানুরুপ ফসল পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, করোনার মধ্যেও আমরা আশানুরূপ ফসল পাবো আশা করছি। আল্লাহর অশেষ রহমত, এ বছর বড় ধরনের দুর্যোগ হয়নি। এমনকি অন্যসময় পোকার আক্রমণ থাকলেও এবারে তেমন নেই। তাই পর্যাপ্ত ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। তারা লাভবান হবেন।

কৃষি খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার ঘোষণাটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। আমরা যদিও প্রতিবছর কৃষকদের প্রতি বিঘা জমির বিপরীতে বিষ ও সারের জন্য ২৭ হাজার টাকা দিয়ে থাকি। এ বছর স্পেশালভাবে আরও সাড়ে সাত হাজার টাকা বেশি কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে কৃষকরা লাভবান হবেন। ফসল ভালো হলে দেশে খাদ্য ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

‘তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে যদি চলতি মাসের মধ্যে দেশ স্বাভাবিক না হয় তাহলে কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। কারণ করোনা স্বাভাবিক না হলে ধান কাটা নিয়ে সমস্যা হবে' বলেন মো. নাসির উদ্দিন।

এদিকে মাসখানেকের মধ্যেই কৃষকদের ঘরে উঠবে বোরো ধান। তাই কৃষকরা এখন শঙ্কিত- উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করা ও ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের জন্য সরকারের প্রণোদনার ঘোষণায় তারা খুশি হলেও ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
জেইউ/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।