ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পণ্যমূল্য ও ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযানের আহ্বান মেয়রের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
পণ্যমূল্য ও ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযানের আহ্বান মেয়রের পণ্যমূল্য ও ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযানের আহ্বান মেয়র নাছিরের

চট্টগ্রাম: রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও  ভোগ্যপণ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান কাঠোরভাবে পরিচালনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রমজানে মসজিদে এশা ও তারাবি নামাজ আদায়ে যে নির্দেশনা (দুইজন হাফেজসহ ১২ জন মুসল্লি নিয়ে জামাত) ধর্ম মন্ত্রণালয় দিয়েছে তা মেনে চলারও আহ্বান জানান।

মেয়র এবার রমজানে ইফতার মাহফিল বা এ ধরনের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, রমজানে একশ্রেণির ব্যবসায়ী সততা ন্যায়নীতি ভুলে অতি মুনাফা লাভের প্রতিযোগিতায় নামে। তারা রমজান মাসকে মুনাফার হাতিয়ার করে ফেলে।

অথচ রমজান হচ্ছে সংযম, ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির উত্তম সময়।

তিনি রমজান মাসে গরিব ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দেওয়ানহাট সমাজকল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেওয়ানহাট জামে মসজিদ, দেওয়ানহাট সানা উল্লাহ মসজিদ, দেওয়ানহাট দীঘির পাড় মহল্লায় ২০০ পরিবারের মাঝে ইফতার-সেহেরি সামগ্রী প্রদান কালে মেয়র এসব আহ্বান জানান।

এ সময় দেওয়ানহাট সমাজকল্যাণ পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস কাজেমী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ লোকমান, মাহফুজর রহমান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান, জাহেদ তানসির, শেখ মোহাম্মদ আকতার উদ্দীন, শেখ মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, মোহাম্মদ সোলেমান, জাবেদ আলী মেম্বার, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, রমজান শুরু হয়েছে। রমজান হচ্ছে রহমত, নাজাত ও মাগফেরাতের মাস। পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম পালনের মাধ্যমে মানুষ পরষ্পরের মধ্যকার হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা ও গুনাহসমূহ জ্বালিয়ে ফেলে। সিয়াম পাপিষ্ঠদের পাপ মোছন করে, নেককারদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার আরো বেশি সুযোগ এনে দেয়। মাহে রমজানের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা। এ রমজান মাসের রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দার মনে ভয় সৃষ্টি হয়। আল্লাহ্‌র কাছে মান মর্যাদা নির্ধারণের একমাত্র উপায় তাকওয়া। এই তাকওয়াই মানুষের মনে সৎ গুণাবলি সৃষ্টি করে। সুতরাং যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে বিরত থেকে ভালো কাজ করতে পারলেই আমাদের রোজা পালন সার্থক হবে।

এ রমজান মাস থেকে আমাদের তাকওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মাহে রমজানের রোজা মানুষের স্বভাব-চরিত্র, আচার-আচর  সংশোধনপূর্বক প্রকাশ্যভাবে সুন্দর করে দেয় এবং মানুষের পার্থিব লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরচর্চা, পরনিন্দা, মিথ্যাচার ও প্রতারণা প্রভৃতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখে আত্মসংযম শিক্ষা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এআর/এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।