বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানিকারক বন্দর থেকে পণ্য চালান খালাস না নিলে কাস্টম হাউস ওই চালান নিলামে তোলে।
এদিকে নানা ভাবে তাগিদ দেওয়ার পরও কিছু আমদানিকারক রমজানে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পেঁয়াজ, রসুন, আদার কনটেইনার ডেলিভারি নেননি৷ সেগুলো নিলামে তুলতে আরএল (রিমুভ লেটার) দেওয়া হয়েছে কাস্টম হাউসকে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১ কনটেইনার আদা, ২ কনটেইনার রসুন, ৯ কনটেইনার পেঁয়াজ নিলামে তুলতে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকাল আটটায় বন্দরে ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউ'স ধারণক্ষমতার বিপরীতে কনটেইনার রয়েছে ৪৭ হাজার ৪০৩টি। এর মধ্যে নিলামযোগ্য কনটেইনার রয়েছে ৭ হাজার ১৮২টি। বছরের পর বছর ডেলিভারি না নেওয়ায় এসব কনটেইনার জমেছে।
কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার (নিলাম) মো. ফরিদ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, আদা, রসুন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। তাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সপ্তাহখানেকের মধ্যে নিলাম করতে পারবো আশা করি।
বন্দরের জেটিতে ৯টি কনটেইনার জাহাজে হ্যান্ডলিং হচ্ছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ আছে ২৯টি কনটেইনার জাহাজ। সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি হয়েছে ২ হাজার ৭৫৩টি কনটেইনার।
বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনার ও জাহাজ জট কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি