রোববার (০৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৯ এপ্রিল রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের জপুই এলাকাতে জুম চাষের সময় উঁচু পাহাড় থেকে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে নিচে থাকা বাঁশের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হন যতীন ত্রিপুরা।
এ অবস্থায় আহত যতীন ত্রিপুরাকে কাছের জপুই বিওপিতে আনা হলে বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরপর খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ২৪ পদাতিক ডিভিশনকে (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) জানিয়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়।
বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন।
এরপর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী জহুর ঘাঁটি’র একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে যতীন ত্রিপুরাকে প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগেও ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোনাপতি চাকমা এবং গত বছরের ২৯ এপ্রিল জতনি তঞ্চংগ্যা নামে দুই প্রসূতিকে এবং গত বছর ১২ মে দুর্গম পাহাড়ে ভাল্লুকের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত আহত পণবিকাশ ত্রিপুরাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম নিয়ে এসে প্রাণ বাঁচায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গত ২৫ মার্চ রাঙামাটির সাজেকের দুর্গম এলাকা লুংথিয়ান ত্রিপুরা পাড়ায় হামে আক্রান্ত মুমূর্ষু পাঁচ শিশুকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি