গত ২৭ মার্চ থেকে যতদিন সরকারি সাধারণ ছুটি থাকবে এটি নেওয়া যাবে না। এর মধ্যে যদি আদায় করে থাকে তা সমন্বয় করতে হবে।
রোববার (১৭ মে) নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে সংস্থাটির মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় শিপিং এজেন্ট, মেইন লাইন অপারেটর (এমএলও), বিজিএমইএ, বাফাসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, বিদেশী শিপিং কোম্পানির প্রতিনিধি ও বন্দর ব্যবহারকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, গত ২৯ এপ্রিল কনটেইনার ডিটেনশন চার্জ আরোপ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অ্যাডভাইজরি পত্র জারি করা হয়েছিল। বিষয়টি পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের জন্য রোববার সভাটি আহ্বান করা হয়েছিলো।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি এমএ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনকালে সব শিল্পকারখানা বন্ধ ছিলো। ইতোমধ্যে বন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে বিজিএমইএর সদস্য প্রতিষ্ঠান অনেক কনটেইনার খালাস নিয়েছে।
কিন্তু দেশের অন্য সব কারখানা বলতে গেলে বন্ধ। বন্দর কর্তৃপক্ষের মতো শিপিং লাইনগুলোর ডিটেনশন চার্জ মওকুফের দাবি ছিলো আমদানিকারকদের। আজ নৌ পরিবহন অধিদফতরে সমন্বয় সভায় বিষয়টি সুরাহা হলো।
তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত, আমাদের প্রধান আমদানি ক্ষেত্র চীনসহ অনেক দেশেই শিপিং লাইনগুলো লকডাউনকালে ডিটেনশন চার্জ বন্ধ রেখেছে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সভাপতি কবির আহমদ জানান, লকডাউন পিরিয়ডে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনারে ডিটেনশন চার্জ বন্ধের সিদ্ধান্তে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি আসবে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য জানান, বিদেশি শিপিং লাইনগুলোর (এমএলও) প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ম অনুযায়ী নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হবে।
বন্দরে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নামার পর শিপিং লাইনগুলো ১৪-২১ দিনের ফ্রি টাইম দিয়ে থাকে। এরপর থেকে বিভিন্ন ধাপে ডিটেনশন চার্জ আরোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি