বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঈদ-উল-ফিতরের দিন শুধু সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বন্দরের ডেলিভারিসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর আগে ও পরে কনটেইনার স্থানান্তর, সংরক্ষণ, ডেলিভারি, কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংসহ সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে স্টেক হোল্ডারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে বন্দরের পরিচালক (পরিবহন)।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির দিন এক পালা (আট ঘণ্টা) ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন অপারেশনাল ও ডেলিভারি কার্যক্রম সচল রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ব্যাংক, কাস্টম হাউস, অফডক, শিপিং এজেন্ট ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে অ্যাপ্রেইজমেন্ট বি/ই আউট পাসড়সহ সব ধরনের ডেলিভারি কার্যক্রমের জন্য কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগসহ সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাস্টম হাউসের কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আমদানিকারকরা যাতে পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার জন্য শিপিং এজেন্ট থেকে ডেলিভারি অর্ডার গ্রহণ করতে পারেন সে লক্ষ্যে শিপিং এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের স্বাভাবিক নিয়মে অফিস খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
ঈদের সময় যেসব সরাসরি ডেলিভারিযোগ্য পণ্যবাহী জাহাজ ঘাটে থাকবে বা আসবে সেগুলোর পণ্য ডেলিভারির জন্য কাস্টম আউট পাসসহ ডকুমেন্ট তৈরি রাখতে বলা হয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে।
বন্দরের ভেতর থেকে ডেলিভারি নেওয়ার কাজে নিয়োজিত কনটেইনার বা পণ্যবাহী গাড়ি যাতে স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে বন্দরের পরিচালককে (নিরাপত্তা) পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করার জন্য বলা হয়েছে। বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের প্রয়োজনীয় শ্রমিক বা জনবল নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে যাতে সুষ্ঠুভাবে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পাদন করা যায়।
বিজিএমইএর আওতাধীন পোশাক শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য সব কারখানা ও আমদানিকারকের ওয়্যার হাউস খোলা রেখে স্বাভাবিক সময়ের মতো ডেলিভারি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের কনটেইনার জট, স্টোর রেন্ট অর্ধেক মওকুফ, তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় এক সপ্তাহের বেশি ছুটি ঘোষণা না করা ইত্যাদি কারণে এবার ঈদের ছুটিতে আমদানি পণ্যের ডেলিভারি অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে। এটি হলে জাহাজের গড় অবস্থান সময় যেমন কমে আসবে তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে। রফতানি পণ্যের কনটেইনার জাহাজীকরণের কাজ স্বাভাবিক থাকবে।
বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সরকারি সাধারণ ছুটিকালেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা, ৭ দিন অপারেশনাল কার্যক্রম চালু রেখেছে। মাঝখানে ২ দিনের মতো বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। তাই ঈদের ছুটিতে যাতে কনটেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে স্টেক হোল্ডারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এআর/টিসি