ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করোনার ভয়াবহতা জেনেও ঘুমিয়ে থাকা বড় সমস্যা: নাছির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
করোনার ভয়াবহতা জেনেও ঘুমিয়ে থাকা বড় সমস্যা: নাছির বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা জেনেও যারা ঘুমিয়ে আছে তারা বড় সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

রোববার (২১ জুন) সকালে চসিকের উদ্যোগে আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রামের সহযোগিতায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রেড জোন এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, অদৃশ্য শত্রু ও মরণঘাতী ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীব করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে মানুষকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবকরাই প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সহায়ক শক্তি।

মেয়র বলেন, আমরা একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা জানি।

এ পরিস্থিতি প্রত্যেকের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজের সুরক্ষা নিজেরই হাতে। বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাকে অনেকেই আমলে আনছেন না। এ উদাসীনতাও একটি মারাত্মক ব্যাধি। যারা জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো যায় না। এ আত্মঘাতী ঘুমের ভান স্বেচ্ছাসেবকরাই ভাঙাতে পারেন।

তিনি বলেন, করোনা রোগী যেখানেই থাকুক দূর থেকে মোবাইল বা ভিডিও কলে রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, ওষুধপত্র ও চাহিদা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া যাবে। সুতরাং স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিন্দুমাত্র আশঙ্কার অবকাশ নেই।

জীবন কখনো থেমে থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, জীবন থাকলে জীবিকার কথা চলে আসে। তাই জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে কাজ করতে হচ্ছে এবং সারা বিশ্ব তাই করছে। যারা খেটে খাওয়া মানুষ দিনে রুজি করে দিনে খায় এদের সঞ্চয় ও সম্পদ বলতে কিছুই নেই। তারা যদি ক্ষুধায় মারা যান-এটাও হত্যার শামিল এবং তা আমরা কিছুতেই করতে পারি না। তবে লকডাউন কোথায়, কীভাবে, কখন হবে এবং সংক্রমণপ্রবণ এলাকা সু-নির্দ্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে শুধু সেখানে তা প্রয়োগ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।

তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাই পজেটিভ ক্যাম্পেইন পাওয়ার হিসেবে অবিহিত করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। আমদেরও ছিল না। তাই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সে সম্পর্কে ধারণাও ছিল না। শুরুতেই কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতা ছিল। এসব নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে, তবে পরামর্শও থাকতে হবে। তাই কখন-কোথায়-কী ভুল হয়েছে, কেন হয়েছে সে কথা বার বার না লিখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, কী করা যায় সেই পরামর্শ ও পথ বাতলে দিলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।

দিনব্যাপী কর্মশালায় ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু, শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, কর্মশালার আইইডিসিআরের প্রশিক্ষক ডা. মোহাম্মদ ওমর কাইয়ুম, ডা. তৌহিদুল আনোয়ার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।